সীমিত পরিসরে হলেও হিফযখানা খোলা হোক

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জুন ১৬ ২০২০, ০০:১০

সাইফুল্লাহ ইবনে ইব্রাহিম, ময়মনসিংহ থেকে: 

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৬ই আগষ্ট পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। করোনা উদ্ভুত পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত ১৭ই মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়। ‘কওমি মাদরাসা শিক্ষা’র ইতিহাসে এত দীর্ঘ বন্ধের বিরল ইতিহাস হবে এটি। ইতোপূর্বে এত লম্বা ছুটি কখনো হয়েছিল কিনা জানা নেই। এতে করে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা বড় একটা ক্ষতিগ্রস্থ সময় পার করছে। এর দিতে হবে পরবর্তীতেও; পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরও।

বিশেষ করে হিফয বিভাগের ছাত্রদের ক্ষতি হচ্ছে বেশি। মাদরাসা শিক্ষায় দক্ষতা নেই অধিকাংশ অভিভাবকরের-ই। বাড়িতে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি লক্ষ্য রাখার মত অভিভাবক না থাকার দরুন হিফযখানার শিক্ষার্থীরা এই দীর্ঘ সময়ে পেছনের পড়া ভুলে যাওয়া সম্ভাবনা প্রবল। যা পরবর্তীতে সামাল দিয়ে উঠতেও বেশ একটা সময় লেগে যাবে; তীব্র আশঙ্কাবোধ করছি এমনটাই হতে পারে।

ফলে পরবর্তীতে এই চাপ নিতে না পেরে হিফযখানার অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা থেকে অথবা মাদরাসা শিক্ষা থেকে সরে যেতে পারে। এভাবে মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।

আমি ব্যক্তিগতভাবে এই সমস্যা নিরসনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপের প্রয়োজনবোধ করছি। ইতোমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি, সরকার করোনা আক্রান্ত এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করছে। রেড জোন-ইয়োলো জোন ও গ্রীন জোনে বিভক্ত করে নতুনভাবে লকডাউন শুরু হওয়ার কথা জানা যাচ্ছে। এবং কড়াকড়িভাবে তা কার্যকর করা হবে বলেও বলা হচ্ছে ।

আমি মনে করি— রেড জোনের আওতার বাইরে যেসব এলাকা রয়েছে, সেসব এলাকার অন্তত হিফযখানাগুলো খুলে দেয়া হোক। এবং এই আপাতত এই নীতিমালা জারি হোক যে, ‘যেসব এলাকা রেড জোনের আওতাভুক্ত রয়েছে সেসব এলাকার ছাত্ররা রেড জোনের বাইরে এসে মাদরাসা ভর্তি হতে পারবে না।
কেবল গ্রীন জোনে যারা আছে,তারা গ্রীণ জোনের মাদরাসাসমূহে ও ইয়োলো জোনে যারা আছে, তার ইয়োলো জোনের মাদরাসাগুলোতে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে ক্লাস শুরু করতে পারবে।’
আর হিফযখানার ছাত্রদের যেহেতু বাইরে বেরোবার সময়-সুযোগ নেই বললেই চলে,সেহেতু তেমন কোন ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বলে মনে হয় না। এটা আমার মতামত; বিবেচনা করা যেতে পারে। অন্তত হিফযখানা অবিলম্বে খোলা হোক,সীমিত পরিসরে হলেও।