সিলেট সিটি, মেয়র আরিফ এবং ফুটপাত

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জানুয়ারি ৩১ ২০১৯, ১১:২৫

জাহেদ আহমদ

এম সাইফুর ছিলেন সিলেটের মানুষের মধ্যমণি। দলমতের উপরে উঠে জনতা তাঁকে পছন্দ করতো।সিলেটের উন্নয়নে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।এই স্থানে সিলেটের কোন নেতা পৌঁছতে পারছেন কি না আমার জানা নেই। উন্নয়নমূলক কাজের জন্য পাবলিক তাঁকে এত সম্মান করতো।এখনো স্মরণ করে।

আমার ধারনা ছিল মেয়র আরিফ চৌধুরী সাইফুর রহমানের শূণ্যস্থান পূরন করে নিবেন।যেহেতু প্রতিকুল পরিবেশে গত মেয়াদে যথেষ্ট উন্নয়ন করেছেন সিটিতে।সেই আশায় জনগন তাঁকে নির্বাচিত করেছে।এবারও কাজের ধারা অব্যাহত রেখেছেন।

কিন্ত ফুটপাতে যারা দোকান নিয়ে বসে ওরা একদম দিনমজুর। কারো ঘরে ভাত থাকলে ফুতপাতে বসতনা।হয়ত তাদের এই ছোট্ট ছোট্ট দোকানগুলোর উপর প্রতি ফ্যামিলির ৫/৭ টা সদস্যের জীবিকা নির্ভর করে।মেয়ের মহোদয় ওদের পেটে লাত্থি দিচ্ছেন!
আমি চাচ্ছিনা ফুটপাতে ওদেরকে বসার সুযোগ দিয়ে রাস্তায় যানজট তৈরি হোক।আমি চাচ্ছি ফুটপাতের লোকগুলোকে তাদের দোকান নিয়ে বসার জন্য নির্দিষ্ট জাগা করে দেওয়া হোক।

রেজিস্টারি মাঠ,রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম, আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ, পুলিশ লাইনস মাঠ,শাহী ঈদগাহ মাঠ,বালুচর মাঠ, এই জায়গাগুলোতে হকারদের বসার অনুমতি দিতে পারে সিসিক।কোন মাস্তান যাতে তাদের কাছ থেকে টেক্স না নেয় সেজন্য প্রশাসনিক কড়া নজরদারি রাখা যেতে পারে।হকারদের কাছ থেকে দৈনিক পঞ্চাশ টাকা করে তুলে সিসিক তাদের জন্য নির্দিষ্ট জাগার ব্যবস্থা করতে পারে।অথবা তারা যেই মাঠে বসবে সেখানকার পরিবেশ সুন্দর রাখতে ঐ টাকা খরচ করা যেতে পারে।

সকাল দুপুর সন্ধ্যা বা মধ্যরাতে হকারদেরকে দৌঁড়িয়ে লাভ হবেনা। আপনি যখন বের হবেন তারা দৌড়বে।আপনি চলে যাবেন তারা আবার বসবে।যেই লাউ সেই কদু।যানজট কমবেনা।হকারদের নির্দিষ্ট স্থানে বসার সুযোগ করে দিন।