সালাতুল হাজাত পড়ার অভ্যাস করুন

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জানুয়ারি ০৮ ২০১৯, ১৪:২৫

মাহবুব হুসাইনঃ আমাদের জীবনে অনেক সময় অনেক বিপদ,সমস্যা,ও নানাবিধ প্রয়োজন দেখা দিয়ে থাকে। আর সেগুলি থেকে কিভাবে কাটিয়ে উঠা যায় তার জন্য ইসলাম সুন্দর কিছু পদ্ধতি বলে দিয়েছে, তন্মধ্যে সালাতুল হাজাত হচ্ছে অন্যতম।
সালাতুল হাজাত বা ‘প্রয়োজনের নামাজ’ একটি বিশেষ নফল ইবাদত। মানুষের বিশেষ কিছুর প্রয়োজন হলে কিংবা শারীরিক-মানসিকভাবে কোনো দুশ্চিন্তা দেখা দিলে এ নামাজ পড়তে হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘সঙ্গত কোনো প্রয়োজন পূরণের জন্য বান্দা নিজ প্রভুর কাছে ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করবে।’ [সুরা বাকারা : আয়াত-১৫৩]।
হুযায়ফা(রাঃ) বলেনঃ রাসুল(সাঃ) যখন কোন সংকটে পড়তেন, তখন সালাতে রত হতেন।
*** আবু দাউদঃ ১৩১৯; সালাত অধ্যায়-২, অনুচছেদ-৩১২; ছহিহুল জামেঃ হা/৪৭০৩; মিশকাতঃ ১৩১৫।
এই বিষয়ে হযরত ইবরাহিম(আঃ) এর ঘটনা সরন করা যেতে পারে। যখন তিনি অপহৃত হয়ে মিশরের লমপট বাদশাহ’র নিকট উপনিত হলেন ও অত্যাচারি বাদশাহ তার নিকট এগিয়ে গেল, তখন তিনি অজু করে সালাতে রত হয়ে আললাহ’র নিকট সাহায্য প্রাথনা করে বলেছিলেনঃ ‘হে আললাহ! এই কাফেরকে তুমি আমার উপর বিজয়ি করোনা’।
সংগে সংগে আললাহ তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন এবং ঐ লমপট বাদশাহ’র হাত-পা অবশ হয়ে পড়েছিল। তিন-তিন বার ব্যথ হয়ে অবশেষে বিবি সারা-কে সসম্মানে মুকতি দেয়। এবং বহু মুল্যবান উপঢৌকনাদি সহ তার খিদমতের জন্য হাজেরাকে তার সাথে ইবরাহিমের(আঃ) নিকট পাঠিয়ে দেয়।
বুখারিঃ ২২১৭; কেনা-বেচা অধ্যায়-৩৪, অনুচছেদ-১০০; আহমাদ-৯২৩০। সনদ সহিহ।
বিশেষ কোন হালাল চাহিদা পুরনের জন্য আললাহ’র উদদেশ্যে দুই রাকাত নফল সালাত আদায় করাকে “সালাতুল হাজত” বলা হয়।

ইবনু মাজাহঃ হা/১৩৮৫; সালাত অধ্যায়-২, অনুচছেদ-১৮৯।

সালাতুল হাজত নামাজের আলাদা কোনো নিয়ম নেই
স্বাভাবিক নামাজের মতোই উত্তমভাবে অজু করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়বে। নামাজ শেষে আল্লাহ তায়ালার হামদ ও ছানা (প্রসংসা) এবং নবী করিম সা. এর ওপর দরুদ শরিফ পাঠ করে নিজের মনের কথা ব্যক্ত করে আল্লাহর নিকট দোয়া করবে।

দোয়ার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে হাদিস শরিফে নিন্মোক্ত দোয়া পাঠের বর্ণনা আছে।
দোয়াটি হলো-
لا إله إلا الله الحليم الكريم سبحان الله رب العرش العظيم الحمد لله رب العالمين. أسالك موجبات رحمتك وعزائم مغفرتك والغنيمة من كل بر والسلامة من كل إثم لا تدع لي ذنباً إلا غفرته ولا هما إلا فرجته ولا حاجة هي لك رضا إلا قضيتها يا أرحم الراحمين

উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারিম, সুবহানাল্লাহি রাব্বিল আরশিল আজিম। আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন, আছআলুকা মুজিবাতি রাহমাতিক; ওয়া আজা-ইমা মাগফিরাতিক, ওয়াল গানিমাতা মিন কুল্লি বিররিউ ওয়াস সালামাতা মিন কুল্লি ইছমিন লা তাদাঅলি- জাম্বান ইল্লা গাফারতাহু ওয়ালা হাম্মান ইল্লা ফাররাজতাহু ওয়ালা হা-জাতান হিয়া_লাকা রিদা ইল্লা কদাইতাহা ইয়া আরহামার রাহিমিন।