সারা দেশে জোট প্রার্থীদের এভাবে অবাঞ্চিত ঘোষনা শুরু করলে পরিস্থিতি কি দাড়াবে?

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ডিসেম্বর ০৯ ২০১৮, ১১:৫৫

ওলিউল্লাহ নোমান: শরীক দল গুলো যদি সারা দেশে জোটের প্রার্থীদের এভাবে অবাঞ্চিত ঘোষনা শুরু করে তাইলে পরিস্থিতি কি দাড়াবে!? আসলে এদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি আস্থা নেই। দলীয় বা জোটের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে নয়। এখানে রাজনীতি হয় ব্যক্তি তোষণের চিন্তা থেকে। হুদাই শ্লোগান দেয়া হয়- ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়! দল ও ২০ দলীয় জোট মিলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে। অথচ ব্যক্তির রাজনীতির নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থীকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়।

এখন ধরা যাক, লক্ষ্মিপুরে ঐক্যফ্রন্টের শরীক দল জাসদকে যে আসনটি দেয়া হয়েছে সেটিতে ১৯৯১ সাল থেকে বিএনপি বিজয়ী হয়। এমনকি বিএনপি’র বিজয়ী প্রার্থীর সাথে জাসদের আ স ম রব জামানত পর্যন্ত হারিয়েছেন। কিন্তু জোটের স্বার্থে এবার তাঁকে আসনটি দেওয়া হয়েছে।

কুমিল্লার দেবিদ্বারে ১৯৯১ সাল থেকে বিএনপি বিজয়ী হয়। এই আসনটিও এবার জোটের একটি দলকে ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। অনুরুপভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিজয়ী আসন ছেড়ে দিতে হয়েছে জোটের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে।

আর হবিগঞ্জ-৪ আসনটি ১৯৯১ সাল থেকে পরাজিত হচ্ছে ধানের শীষ। যাকে দেওয়া হয় তিনি ৪ বার নির্বাচন করেছেন। ৪বারই ধানের শীষকে পরাজয় উপহার দিয়েছেন। বিগত ১০ বছর কোন আন্দোলন সংগ্রামে কোথায়ও তাঁর ছায়া দেখা যায়নি। এমনকি আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষনা হলে তিনি দলের অনুগত নেতাকর্মীদের ডেকে নিয়ে বলতেন, এই এলাকায় কোন মিটিং মিছিল হবে না। কারো আন্দোলন কর্মসূচি পালন করার ইচ্ছা থাকলে ঢাকায় গিয়ে করেন। এখানে কর্মসূচি পালন করলে সরকার পতন ঘটবে না। সুতরাং এলাকায় মিটিং মিছিল নয়। এমনটি অনেক নেতাকর্মীর মুখে শুনেছি।

৪বার পরাজিত একজন প্রর্থীর সীট জোটের একটি দলের শীর্ষ নেতাকে দেওয়া হয়েছে।

ধরে নেয়া যাক, বিএনপি’র যেসব আসনে প্রর্থী রয়েছে জোটের অন্য শরীকরা যদি তাদের অবাঞ্চিত ঘোষনা শুরু করেন তখন কি দাড়াবে নির্বাচন ও রাজনীতি!?

আসলে ব্যক্তি তোষনের রাজনীতির ফলাফল যা হওয়ার তাই হচ্ছে হবিগঞ্জ-৪ আসনে। লজ্জা থাকলে তো বলার কথা ৪ বার দল প্রতীক দিয়ে সম্মানিত করেছে। কিন্তু ভোটের ব্যবধান বেড়ে পরাজিত হয়েছে প্রতিবার। এইবার দলের সিদ্ধান্তকে সম্মান দেখাই।
-ওলিউল্লাহ নোমান
সিনিয়র সাংবাদিক।