সামগ্রিক জীবনে ইসলাম ধর্ম | সালীম আহমাদ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

অক্টোবর ২৬ ২০১৮, ০০:৫৯

অনেকেই বলে থাকেন যে,
“সব কাজে ধর্মকে টেনে অানা ঠিক নয়!
এতে করে নাকি ধর্মের অসম্মান হয়।”
অাসলে কি তাদের এই কথা সঠিক?
অনেক পোশাকী মৌলভীর মুখেও এমন কথা শোনা যায়।
অবশ্য তারা না বুঝেই গলা মিলায়।
মূলত ধর্ম বিশেষতঃ ইসলাম হোলো এমন একটা জীবনাদর্শ,মানুষের সার্বিক দিক সম্পর্কে তদারকী করার,প্রতিটি পদক্ষেপ,সিদ্ধান্ত,কাজ নিয়ন্ত্রন করার যোগ্যতা যার রয়েছে।
.
অতএব মানুষের পেশাগত জীবন অার ব্যক্তিগত জীবন ধর্মের দৃষ্টিকোণ থেকে এক ও অভিন্ন।
ধর্মের অাজ্ঞাবহ হতে হলে মানুষকে সেই পেশা বেছে নিতে হবে,ধর্ম যার অনুমোদন দেয়।
পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে একই কথা।
সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রে এই কথাটা অারো জোরালোভাবে প্রযোজ্য।
কলম চালনায় অবশ্যই বাধাবন্ধনহীন হওয়া চলবে না।
অাপনি একনিষ্ঠ মুসলিম লেখক হলে,শ্যামা-সঙ্গীত বা হিন্দুদের অন্য কোনো যজ্ঞানুষ্ঠানের জন্য গীত রচনা করার অনুমতি অাপনার ধর্ম অাপনাকে দেবে না!
শিল্পীগণ বাদ্যযন্ত্রের তালে গান গাবেন,ধর্মে তার অনুমতি নাই।
বেগানা যুবক-যুবতী চলচ্চিত্রে অভিনয় করবে,অার বলা হবে ঐ অভিনেত্রীরা ব্যক্তিগত জীবনে “ভালো,ধর্মনিষ্ঠ মুসলিম”! এটা হবে তখন গাঁজাখোরী কথা!
কেননা ধর্মে প্রফেশনাল লাইফ অার পারসোনাল লাইফের মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই।
অাপনি লেনিন,মাও জে দং{মাও সে তুং},মার্কসের অাদর্শ অাপনার লেখায় সম্মানের সাথে প্রচার করবেন,অথচ অাপনি মুসলিম এবং একনিষ্ঠ মুসলিম!
এটা ধর্মের অবমাননা।
.
ইসলাম কতিপয় অনুষ্ঠন সর্বস্ব কোনো ধর্ম নয় যে,ঐ অনুষ্ঠানগুলো করে বাকী জিন্দেগী যাচ্ছে তাই করবো;বরং পেশাব,পায়খানা,খাওয়া,ঘুম,ব্যবসায়,চাকুরী,এক কথায় সবকিছুতেই ইসলামের সুস্পষ্ট,যুগোপযোগী বিধান বর্তমান।
একনিষ্ট ধর্মানুরাগী হতে চাইলে অতি-অবশ্যি সর্বক্ষেত্রে ধর্মের উপস্থিতি নির্দ্বিধায় মেনে নেওয়া ছাড়া গত্যন্তর নাই।
এটা করতে গেলে সাম্প্রদায়িক,মৌলবাদী,গোঁড়া হওয়ার তকমা নসীবে জুটবে!
জুটুক,ক্ষতি নেই তাতে এতটুকু।
অসাম্প্রদায়িক ওরফে মুনাফিক হওয়ার ক্ষতির চেয়ে সাম্প্রদায়িক হওয়ার ক্ষতি অনেক অনেক কম!
.
পৃথিবীর জাতিসমূহের সবাই সাম্প্রদায়িক।
এক্ষেত্রে অগ্রে স্মরণযোগ্য জাতি হলো ইহুদী।
এরা ব্যক্তিগত,জাতিগত,ভূখণ্ডগত সবদিক দিয়েই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সাম্রদায়িক।
এদের পরের সিরিয়ালে অাসে বহুশ্বরবাদী পৌত্তলিক হিন্দুজাতি।
এরাও ইহুদীদের মতোই বিকট সাম্প্রদায়িক।
খৃস্টানদের সাম্প্রদায়িকতা সারা বিশ্ব জানে।
বিশ্বব্যাপী খৃস্টানদের পরিচালিত এনজিও গুলোর বহুমুখী লক্ষের মধ্যে মূল লক্ষ হলো ব্যাপকভিত্তিক খৃস্টীয়করণ কর্মসূচী!
অবাক হচ্ছেন?
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল বিশেষতঃ পাহাড়ী,অনুন্নত এলাকাগুলোতে সফর করুন,দেখবেন অামাদের বক্তব্যের কতটুকু সত্য।
অধিকন্তু ইতিহাস খুলে দেখুন।
শিউরে উঠবেন।
সে তুলনায় ইসলাম সবচাইতে উদার,সবচাইতে মানবিক।
অতএব,পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মানবিক ধর্মের সার্বিক অনুসরণ
করতে গিয়ে অামি সাম্প্রদায়িক,মৌলবাদী হতে সহস্রবার রাজী।
.
মধুপুর,টাঙ্গাইল।
২৪/১০/১৮ইং