সা’দ সাহেবের অনুসরণ করা যাবে না: তাবলীগী জোড়ে ওলামায়ে কেরাম

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

নভেম্বর ১৭ ২০১৮, ১১:৩৭

হাবীব আনওয়ার: সাদ সাহেব আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত থেকে বাহির হয়ে গিয়েছেন! তাই তার অনুসরণ বা তাকে আমির মানা যাবে না।
আজ ১৭ নভেম্বর(শনিবার) চট্টগ্রাম জমিয়াতুল ফালাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত তাবলীগ জামাতের ওয়াজাহাতি জোড়ে ওলামায়ে কেরাম এ কথা বলেন।

জোড়ে উপস্থিত হয়ে,আল্লামা আহমাদ শফি বলেন, যারা যাদের সাথে থাকবে তারা তাদের সাথে কিয়ামতের ময়দানে উঠবে।তাই আপনারা সিদ্ধান্ত নিন কাদের সাথে উঠবেন।হক্কানী আলেমদের সাথে নাকি পথ ভ্রষ্ট জাহেলের সাথে।
আলেমদের সাথে থাকুন।আলেমদের দেখানো পথে চলুন।আলেমরা ওরাসাতুল আম্বিয়া। নবীদের ওয়ারিশ। তাই আলেমদের সাথে থাকুন। মাওলানা ইলিয়াস রহ. এর উসূলের উপর পরিচালিত তাবলীগ করুন।

আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, মাওলানা ইলিয়াস সাহেব রহ. এর উসূল থেকে যারা সড়ে গিয়েছে তারা গোমরাহ।তাদের অনুসরণ করা জায়েয নেই।

আব্দুল হালিম বুখারী বলেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনূসরণ করলেই সব সমস্যার সমাধন হয়ে যাবে।

মাওলানা জুনাইদ বাবুনগরী বলেন, ইসলামে কোন ব্যক্তি পুজা জায়েজ নেই।কিন্তু আমাদের কিছু ভাই মাওলানা সাদের অনুসরণ করে ব্যক্তি পুজা শুরু করে দিয়েছেন। দাওয়াতে তাবলীগের মেহনত আল্লাহর কবুলিয়্যাত মেহনত।সারা দুনিয়াতে এই মেহনতে কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষ মুসলমান হচ্ছেন।যা দেখে ইহুদী-খৃস্টানরা এই কাজকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।আর মাওলানা সাদ সাহেব তাদের দ্বারা ব্যবহিত হচ্ছে। তাই আমাদের সজাগ থাকতে হবে।হযরত ইলিয়াস রহ.এর উসূল মতাবেক এই দাওয়াতের কাজ করতে হবে।

মাওলানা জুবায়ের সাহেব বলেন, তাবলীগের কাজ কারো মন গড়া কাজ নয়। কুরআন ও হাদীসের আলোকে সঠিক কাজ হচ্ছে তাবলীগের কাজ।অনেক চিন্তা ফিকির আর গবেষণা করে এই কাজের তরতিব করা হয়েছে।মাওলানা ইলিয়াস রহ. ৬ উসূল কুরআন হাদীস থেকে নিয়েছেন।তাই এর বাহিরে কারো মন গড়া উসূল মানা জায়েয় নয়।
তিনি আরো বলেন, যারা বলেন, ওলামায়ে কেরাম তবলীগ করে না।তারা ভুলের মাঝে রয়েছেন।ওলামায়ে কেরামই হচ্ছেন, তাবলীগের মূল।তাই কেউ বিভ্রান্ত হবেন না।

মুফতী আব্দুল মালেক সাহেব বলেন, সাদ সাহেব আজ নিজের মন মত মতবাদ তবলীগের মধ্যে ডুকিয়ে দিয়ে মানুষকে দ্বীন থেকে দূরে সড়িয়ে দিচ্ছে।যার ফলে গবিত -শেকায়েত এমন কি হাতাহাতির মত ঘটনা ঘটছে।
আজ মানুষ দিশেহারা। তাই ওলামায়ে কেরামকে সঠিক দ্বীন মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

আরো আলোচনা করেন, আমিরে হেফাজত
আল্লামা আহমাদ শফি, আল্লামা জুনাইদ বাবুনগী, মাওলানা জুবায়ের সাহেব, পটিয়ার পরিচালক আল্লামা আব্দুল হালিম বুখারী, মুফতী নাজমুল হাসান সাহেব, মুফতী আব্দুল মালেল সাহেব,দারুল মারিফের পরিচালক আল্লামা সুলতান যওক নদভী, আল্লামা শেখ আহমাদ সাহেব,পটিয়া মাদরাসার সহকারী পরিচালক মাও.আবু তাহের নদভী, মাও.মোমতাজুল করিম (বাবা হুজুর), মুফতী আহমাদুল হক, মুফতী কিফায়াতুল্লাহ, মাও. উবায়দুল ফারুক বারিধারা, মুফতী জসিম উদ্দিন, মুফতী এনামুক হক কাসেমী ঢাকাসহ চট্টগ্রামের মাদরাসা সমূহের পরিচাকলগণ।