হাবীব আনওয়ার

বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলিম দেশের শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরামের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য স্ব স্ব দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সম্মানিত আমিরে মুহতারাম শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী। আজ ২৩ মার্চ, রোজ শনিবার সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই আহ্বান জানান।

আমীরে হেফাজত বলেন, সারা পৃথিবীতে আজ মুসলমারা নির্যাতনে ও নিপিড়নর শিকার। বড় সংকটময় পরিস্থিতিতে তারা জীবন-যাপন করছে। পৃথিবীর প্রায় সব ক’টি মুসলিম দেশ শত্রুদের দ্বারা আক্রান্ত। পাশ্চাত্যের অপসংস্কৃতির কালো থাবা মুসলিম উম্মাহকে পর্যুদস্ত করে চলেছে। এমন সংকটময় মুহূর্তেও শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরাম দিকহারা উম্মাহর পথ প্রদর্শনে নিয়োজিত আছেন । ফলে মুসলিম উম্মাহ এখনো সত্য ও সঠিক পথের উপর পরিচালিত হচ্ছে।

কিন্তু ইহুদি-খ্রিস্টান এবং শিয়া সম্প্রদায় মুসলিম উমাহকে নেতৃত্বশূন্য করে দেয়ার লক্ষ্যে শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরামদের হত্যার টার্গেট নিয়েছে। এই অপচেষ্টায় যদি তারা সফল হয়ে যায়, তাহলে মুসলিম উম্মাহ সহজেই দিক হারিয়ে ফেলবে। তাই উম্মাহর রাহবারদের দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে সন্ত্রাসীরা।

এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল জুমাবার পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় আলেম মুফতি মুহাম্মদ তাকি উসমানির উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি এবং তার স্ত্রী সুস্থ আছেন। কিন্তু দেহরক্ষী শাহাদাত বরণ করেছেন এবং দু’জন আহত হয়েছেন। আমি শহীদদের মাগফিরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।

এমন জঘন্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আগামীতে আরও জোরদার হতে পারে। বাংলাদেশে এমনটা হবে না তা শতভাগ নিশ্চিত করে বলা যায় না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের দেহরক্ষী নিয়োগ করেছিলেন। আল্লাহ তা’আলা যখন নবীজির নিরাপত্তার দায়িত্ব নিলেন, তখন থেকে তিনি দেহরক্ষী রাখতেন না। এরপরেও আমি মনে করি, শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরামের নিরাপত্তার লক্ষ্যে দেহরক্ষী রাখা জরুরি। কারণ তারা দেশের অমূল্য সম্পদ এবং উম্মাহর পথ প্রদর্শক। কাজেই দেশের শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরামের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।