সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া কি পৃথক দুশ্চিন্তার কারণ?

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মে ১১ ২০২০, ১৯:৪৫

ডা: রিফাত আল মাজিদ, হেলথ রিপোর্টার, একুশে জার্নাল: সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে এই খবর আলাদা করে বা নতুনভাবে দুশ্চিন্তার কিছু নাই। যত টেস্ট করবেন আক্রান্তের সংখ্যা তত বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। আমার কাছে জনবহুল দেশগুলোর ক্ষেত্রে (যেমন বাংলাদেশ) সংক্রামণের সংখ্যা তেমন গুরুত্ব বহন করে না। সংক্রামণের চেয়ে মৃত্যুর সংখ্যাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে রিকভারি রেট বেশি না কম, মৃত্যুর হার কম না বেশি এটাও আপাতত ইররিলেভেন্ট। এসব ইনফরমেশন তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় আমাদের দেশের এস্পেক্টে।

আমি প্রথম থেকেই গণহারে টেস্ট করার পদ্ধতিকে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। যেসব দেশ টেস্ট করাকে গুরুত্ব দিচ্ছে তাদের আলাদা একটা উদ্দেশ্য আছে। আক্রান্তদের সনাক্ত করে তাদের আলাদা করলে হয়তো এই ভাইরাস থেকে মুক্তি মিলবে, এমন ধারণা থেকেই উন্নত দেশগুলোতে ব্যাপকভাবে টেস্ট করানো হচ্ছে। যেসব দেশে জনসংখ্যা কম, টেস্ট কিট ও রিলেভেন্ট এক্সপার্টিজ এভেইলেবল তাদের ক্ষেত্রে এই স্ট্রাটেজি যুক্তিযুক্ত। আমাদের দেশের জন্য এই মেথড মোটেই যৌক্তিক নয়।

পলিসি মেকারদের অনুরোধ করবো, সিম্পটমস গাইড লাইন তৈরী করে পাব্লিকলি ছড়িয়ে দিতে, শুধুমাত্র হসপিটালাইজড রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার্থে টেস্ট করানো যেতে পারে। বাকি লোকজন সিম্পটমস গাইডলাইন ফলো করে হোম রেমেডি গ্রহণ করবে অথবা সেলফ আইসোলেশন যাবে। অন্যথায় শুধুমাত্র মাইল্ড সিম্পটমস হলেই যদি টেস্ট করতে হয় তাহলে, দুর্বল অবকাঠামো ও বহুল জনসংখ্যার এই দেশের সেই সক্ষমতা আছে কি? আবেগ দিয়ে নয়, বাস্তবতার নিরিখে ভাবতে হবে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুস্থতার জীবন দান করুন।