শ্রীমঙ্গলে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

সেপ্টেম্বর ০২ ২০১৯, ১৭:৩৯

এহসান বিন মুজাহির

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে এক মতবিনিময় সভা অনুৃষ্ঠিত হয়েছে। সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) টিআইবি শ্রীমঙ্গল এর সহায়তায় এর সম্মেলন কক্ষে সোমবার সকালে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাখাওয়াৎ হোসেন।

টিআইবির এরিয়া ম্যানেজার পারভেজ কৈরী’র সঞ্চালনায় সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে রাখেন সনাক সহ-সভাপতি দ্বীপেন্দ্র ভট্টাচার্য।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে´ের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মহসিন, সনাক সদস্য অধ্যাপক (অব:) বদরুল আলম, ডা. সাজ্জাদুর রহমান, স্বজন সদস্য সৈযদ ছায়েদ আহমদ, দুপ্রকক এর সাধারন সম্পাদক আব্দুর রউফ তালুকদার, তথ্যকর্মকর্তা আনোয়ার গাজী প্রমূখ। বক্তৃতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে´ের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মহসিন বলেছেন-শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লোকবলের অভাবে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে পারনে না। এখানকার জনপ্রতিনিধবৃন্দ হাসপাতালের উন্নয়নে একটা বড় অবদান রাখতে পারেন। তাদের মাধ্যমেই সম্ভব হাসপাতালের সমস্যাগুলো সরকারের নজরে নিয়ে আসা। আমাদের হাসপতালকে পঞ্চাশ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ঘোষনা করা হলেও এখন পর্যন্ত এটি বাস্তবে রুপ নিতে পারে নাই। হাসপাতালটিতে লোকবলের অভাব থাকার কারনে সমস্যাগুলো দুর করা অনেকাংশে সম্ভব হয় না।

সভার সভাপতি ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা: মো. শাখাওয়াৎ হোসেন বলেন সনাক টিআইবি আমাদেরকে এইরকম সভার মাধ্যমে কাজ করে উজ্জিবিত রাখেন। বিশেষভাবে উল্লেখ করে বলেন আমাদের এই হাসপাতালে লোকবলের অনেক অভাব রয়েছে। এখানে ২০ জন ডাক্তার থাকার কথা সেখানে মাত্র আমরা ১২ জন ডাক্তার দিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। পরিচ্ছন্নতা কর্মীরও সংকট রয়েছে। এখানে মাত্র দুইজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী দিয়ে হাসপতাল পরিস্কার রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, হাসপাতালে টিকেট কাউন্টারে টিকেট কাটার সময় ভাংতি জনিত সমস্যা দুরীকরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন এটি লোকজনের উপর নির্ভর করে। আমাদের এখানে টিেিকটের মূল্য ৩ টাকা তাহলে যদি পাচঁ টাকা দেয়া হয় বা ১০ টাকা দেয়া হয় আমরা ভাংতি কোথায় থেকে দিব। তারপরও আমরা ভাংতির ব্যবস্থা করেছি, তবে এটি পর্যাপ্ত না। এখানে প্রচুর রোগী হয়। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই বিষয়ে আমরা একটি নির্দেশনা বড় করে টানিয়ে দেবো, তাই আর সাধারণ রোগীদের মধ্যে এই ভুল বুঝাবুঝি থাকবে না। তবে তিনি তার পূর্ববর্তী কর্মকর্তা ডা. জয়নাল আবেদীন টিটোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আরো জানান, তার কাজের ধারা বাহিকতায় তিনিও এই সীমিত লোকবল নিয়ে বাংলাদেশের অনেক হাসপাতাল থেকে এই হাসপাতাল অনেক ভাল অবস্থানে আছে। তবে তারা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন আরো ভালো করার দিকে। এব্যাপারে তিনি সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।