শিশু সামিউল হত্যা: মা’সহ দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

ডিসেম্বর ২০ ২০২০, ১৩:৪৫

রাজধানী আদাবরে শিশু সামিউল হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদন্ড দিয়েছে নিম্ন আদালত। তারা দু’জনই পলাতক রয়েছে। দীর্ঘ দশ বছরেরও বেশি সময় পর মামলাটির রায় পেলেন বাদি সামিউলের বাবা কে এ আজম।

রাজধানীর আদাবরে পরকীয়ার জেরে পাঁচ বছরের শিশু খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফিকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার মা এশা ও এশার প্রেমিক বাক্কুর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। তবে আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১০ সালের ২৩ জুন পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর সঙ্গে মায়ের অনৈতিক কোনো ঘটনা দেখে ফেলায় সামিউলকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখা হয়। পরে মরদেহটি বস্তায় ভরে পরদিন ২৪ জুন রাস্তায় ফেলে দেয়া হয়। ঐদিনই আদাবরের নবোদয় হাউজিং এলাকা থেকে সামিউলের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সামিউলের বাবা কে এ আজম আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার ওসি কাজী শাহান হক, এশা ও বাক্কুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় এ পর্যন্ত ২২ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। এশা ও বাক্কু উভয় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এই মামলায় সামিউলের মা এশা জামিনে ছিলেন। গত ৮ ডিসেম্বর তিনি হাজির না হওয়ায় আদালত তার জামিন বাতিল করেন। অপরদিকে, বাক্কু হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পলাতক ছিলেন। বর্তমানে বাক্কু ও এশা দুইজনই পলাতক।