শহীদ স্বামীকে নিয়ে যা বললেন মুরসী’র স্ত্রী

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জুন ১৮ ২০১৯, ১৯:২৬

 

মিশরের স্বৈরশাসক আবদুল ফাত্তাহ আস সিসির কারাগারে বন্দী অবস্থায় ইন্তেকাল করা দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও মুসলিম ব্রাদারহুডের সিনিয়র নেতা মুহাম্মাদ মুরসীর স্ত্রী নাজলা আলী মাহমুদ বলেছেন, ড. মুহাম্মদ মুরসী আল্লাহর নির্দেশে তাঁর জিম্মায় চলে গেছেন! তিনি এমন অবস্থায় আল্লাহর নিকট চলে গেলেন, যখন তিনি ছিলেন আল্লাহর দ্বীনের একজন সাহায্যকারী, শাহাদাতের প্রত্যাশী এবং জুলুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার এক প্রতিবাদী ব্যক্তিত্ব।

নাজলা আলী মাহমুদ বলেন, মুহাম্মাদ মুরসী এমন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলেন, যখন তিনি ছিলেন তাঁর জাতির জন্য একজন সাহায্যকারী। অথচ তাঁর জাতির অনেকেই তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তিনি এমন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলেন, যখন তিনি ছিলেন একজন সত্যের পতাকাবাহী, সত্যের ব্যাপারে অগ্রগামি কিন্তু কখনোই পশ্চাদগামী ছিলেন না। তিনি এমন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলেন, যখন তিনি কোন ধরনের অসত্যের পদলেহন না করে ক্লান্তিহীন নিরলসভাবে ছয়টি বছর সত্যের ঝাণ্ডা উড্ডীন করে রেখেছিলেন। তিনি এমন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলেন, যখন তিনি ছিলেন একজন মহান মর্যাদার অধিকারী ব্যক্তিত্ব।

তিনি বলেন, মুহাম্মাদ মুরসীকে ভালোবেসে যুগের এই নিফাকী খিয়ানত এবং হীনতা থেকে মুক্ত করে তাঁর কাছে উঠিয়ে নিয়েছেন। দাওয়াতী কর্ম ও আমানতের দায়িত্ব পালনের পর আল্লাহ তায়ালা তাঁকে তাঁর সর্বোত্তম সাথীর (আল্লাহর) নিকট সুমহান জান্নাতুল ফিরদৌসে উঠিয়ে নিয়েছেন।

স্বৈরশাসক সিসি ও তার অনুসারীদের উদ্দেশ্য করে মুরসীর স্ত্রী বলেন, হে বিশ্বাসঘাতকের সহচররা, তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ করো ! অচিরেই তোমাদেরকে এমন এক বিভীষিকা গ্রাস করবে যা থেকে তোমরা মুক্ত হতে পারবেনা। অচিরেই আপতিত হবে তোমাদের উপর ভয়ংকর এক আযাব।

তিনি বলেন, তোমরা (সিসি ও তার অনুসারীরা) আরও সুসংবাদ(!) গ্রহণ করো যে, কিয়ামত পর্যন্ত যত প্রজন্ম পৃথিবীতে আসবে তাদের মধ্যে যারা শিক্ষা গ্রহণ করতে চায় এমন প্রত্যেকের জন্য তোমরা এক শিক্ষা (নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত) হয়ে থাকবে।