শহিদুল আলমের মুক্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে দেশি-বিদেশি ২৪টি মানবাধিকার সংগঠন

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

আগস্ট ১০ ২০১৮, ২২:৪২

চলমান ছাত্র আন্দোলন নিয়ে আল জাজিরা টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেওয়ার পর পরই শহীদুল আলমকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে যায়।

প্রখ্যাত আলোকচিত্রী ও দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলমের দ্রুত ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে দেশি-বিদেশি ২৪টি মানবাধিকার সংগঠন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এবং ঢাকার শ্যামলীতে অবস্থিত সংস্থাটির বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে পাঠানো বিবৃতিতে সংস্থাগুলো এ আহ্বান জানায়।

গত ৫ আগস্ট শনিবার রাতে শহিদুলকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিবৃতিতে গণমাধ্যমকর্মী, বিশেষত সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দিতে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো হলো- রিপোর্টার্স উইদআউট বর্ডার্স, কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে),ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন এক্সচেঞ্জ (আইফ্যাক্স), ইনডেক্স ফর সেন্সরশিপ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জার্মান শাখা, ট্রানসপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ (টিআইবি), ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনস প্রোগ্রাম অন ইন্ডিপেন্ডেন্ট জার্নালিজম প্রমুখ।

দেশীয় সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বন্ধু ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, নাগরিক উদ্যোগ, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, নিজেরা করি, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, জাগৃতি প্রকাশনী প্রমুখ।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলমান আন্দোলনে গত এক সপ্তাহে ৪০ জনেরও বেশি সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ২২ জন ফটোসাংবাদিক পেশাগত দায়িত্বপালনকালে ছবি/ভিডিও তোলার জন্য হামলার শিকার হন। বিবৃতিতে এসব হামলাকারীদের, তারা যে দলেরই হোক না কেন, দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানিয়েছে।

গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ধারাবাহিকভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে বিবৃতিতে বিতর্কিত আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা বাতিল, আইসিটি আইন ও ডিজিটাল সুরক্ষা আইনের সংশোধনের দাবি জানিয়েছে।

বিবৃতিদাতা সংস্থাগুলো হচ্ছে, আর্টিকেল ১৯, আইন ও শালিশ কেন্দ্র, এসিড সার্ভাইভার্স ফাউন্ডেশন, বন্ধু সোস্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, বাংলাদেশ দলিত এন্ড এক্সক্লুডেড রাইটস মুভমেন্ট, বাংলাদেশ হিন্দু বুদ্ধিষ্ট খ্রিষ্টান ইউনিটি কাউন্সিল, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট, জার্মান সেকশন অব অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম, বয়েস অব বাংলাদেশ, ফ্রেন্ডস অ্যাসোসিয়েশন ফর ইন্টিগ্রেটেড রেভল্যুশন, ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন এক্সেঞ্জ, ইনডেক্স সেন্সরশিপ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স অব ডিজেবল পিপলস অর্গানাইজেশনস, নিজেরা করি, রিপোর্টার উইদাউট বর্ডারস, স্টেপ টু ওয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, নাগরিক উদ্যোগ, ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনস প্রোগ্রাম অন ইনডিপেনডেন্ট জার্নালিজম এবং জাগৃতি প্রকাশনী।