বাবুল বলেন, আমি শুরু থেকেই সন্দেহ প্রকাশ করে আসছিলাম, নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা চলছে। আমি আনন্দ নিকেতন স্কুলে ভোট দিতে এসেছি। এখানে পেশিশক্তি প্রদর্শন করা হচ্ছে। ভোটার না কিচ্ছু না, তবুও নৌকার কার্ড গলায় ঝুলিয়ে কেন্দ্রে এসে ভোটারদের ধমকাচ্ছে সন্ত্রাসীরা। আমার কাছে বারবার ফোন আসছে, নগরীর বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে লাঙ্গলের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে, অনেক কেন্দ্রে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। এইমাত্র খবর পেলাম সিলেট সরকারি পাইলট হাই স্কুল কেন্দ্র থেকে আমার লাঙলের সকল এজেন্টকে বের করে দিয়েছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসী গুন্ডারা। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমি এখনই যাচ্ছি পাইলট স্কুলে। আমি নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ জানাব।
বাবুল আরও বলেন, পূর্বপরিকল্পিত নীল নকশার অংশ হিসেবে তারা ভোট চুরির পাঁয়তারা করছে। পুরো বিশ্ব তাকিয়ে আছে সিলেটের নির্বাচনের দিকে। তবে আমি বলে দিতে চাই, যে নোংরামি শুরু হয়েছে, তাতে ভোট সুষ্ঠু হওয়ার কোনো সুযোগ নাই। আমি নির্বাচনের মাঠে আছি। মাঠ ছাড়তে কোনো সুযোগ আমার নাই। জনগণ লাঙ্গলে ভোট দিতে চায়। এ কারণে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা আমার ভোটার ও এজেন্টদের হয়রানি করছে।
নজরুল ইসলাম বাবুল আরও বলেন, সকালে ঘণ্টাখানেক কাজ করেনি ইভিএম। এটাও চক্রান্তের অংশ হতে পারে। নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, রিটার্নিং কর্মকর্তা সকলেই নৌকার প্রার্থীর পকেটে। আমি ফলাফল ঘোষণার পর সবকিছু বলব ইনশা আল্লাহ। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে লাঙ্গলে ভোট দিচ্ছেন। ইনশা আল্লাহ সুষ্ঠু ভোট হলে ও পেশিশক্তির প্রভাব না পড়লে লাঙ্গলই জিতবে।