রুমি ও রবির প্রতিতুলনা: কার কী বৈশিষ্ট্য

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

মার্চ ০১ ২০১৯, ১১:১৫

মনোয়ার শামসী সাখাওয়াত:: মওলানা রুমি খোদার প্রতি ভালবাসাকে সর্বজনীন করেছেন। ধর্মের মর্মকে ও নির্যাসকে মানবিক সাহিত্য ও শিল্পে রূপান্তর করে মানুষের শিল্পসাধনাকে আধ্যাত্মিক করে তুলেছেন। নিরীহ নিষ্পাপ উপভোগ ও রসাস্বাদনের বিষয় ও প্রকরণ করে তুলেছেন।

অপরদিকে রবীন্দ্রনাথও তাঁর গানকে ঈশ্বরপ্রেম দিয়ে সর্বজনীন করতে চেয়েছেন। ধর্মের মর্মকে ও নির্যাসকে রুমির থেকে একটু ভিন্নভাবে মানবিক সাহিত্য ও সঙ্গীতশিল্পে রূপান্তর করতে চেয়েছেন। এর ভেতর দিয়ে রবীন্দ্রনাথ কথা ও সুরের সহজ মেলবন্ধনকে তাঁর সিগনেচার টিউন করতে চেয়েছেন। এভাবে রবীন্দ্রনাথও তাঁর গানের মাধ্যমে সংগীতশিল্পকে আধ্যাত্মিক করে তুলতে চেয়েছেন।

কিন্তু রুমির কবিতা যতই সর্বজনীন বা মানবিক হোক না কেন তা কখনোই তাঁর মৌল বৈশিষ্ট্য আধ্যাত্মিকতা থেকে একচুল পরিমাণও বিচ্যুত হয় না। অপরদিকে রবীন্দ্রনাথের গানে অলৌকিক ঈশ্বরপ্রেম প্রায়শই অতি লৌকিক রক্তমাংসের মানব-মানবীর প্রেম বলে মনে হয়।

হয়তো অনেকে একে রবীন্দ্রনাথের আধুনিকতা মনে করে বাহবা দেবেন; কিন্তু অনেক আধ্যাত্মিকের কাছে মনে হতে পারে যে এতে করে রবীন্দ্রনাথের গান কখনো কখনো আধ্যাত্মিক মূল ট্র্যাক থেকে বিচ্যুত হয়েছে। এবং ফলে তা মূলত আধুনিক এবং প্রান্তিকভাবে আধ্যাত্মিক।