রায়হান হত্যা: এসআই আকবরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

মে ০৫ ২০২১, ২২:৩২

সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে নিহত বহুল আলোচিত রায়হান আহমদ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেছে পিবিআই। বুধবার ( ৫ মে ) দুপুরে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ অভিযোগ পত্র দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগপত্রে এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ ৫ পুলিশ ও আকরকে পালাতে সহযোগীতাকারি কোম্পানীগঞ্জের আব্দুল্লা আল নোমান নামের এক যুবকসহ ৬জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

অভিযোগ পত্র দাখিলের আগে পিবিআই সিলেটের জেলা পুলিশ সুপার খালেদ-উজ-জামান সংবাদ সম্মেলনে জানান আলোচিত এ মামলাটির আসামি পুলিশ হওয়ায় একটি নির্ভূল, ত্রুটিমুক্ত ও গ্রহণযোগ্য চার্জশীট তৈরি করতে কিছুটা সময় লেগেছে

অন্যদিকে দীর্ঘ তদন্ত শেষে অভিযোগ পত্র আদালতে দাখিল করায় খুশি নিহত রায়হানের পরিবার। নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তারা।

জানা গেছে, বন্দরবাজার ফাঁড়ির সাময়িক বরখাস্ত ৬ পুলিশকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। তারা হলেন- বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, টুআইসি এসআই হাসান আলী, এএসআই আশেকে এলাহী, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, কনস্টেবল তৌহিদ মিয়া ও কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস। অভিযুক্ত ৬ জনই কারাগারে রয়েছেন। তবে ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ গায়েবকারী কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান পলাতক রয়েছে।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম এ ফজল চৌধুরী জানান, পিবিআই দাখিলকৃত অভিযোগপত্রে আপাতত কোন অসংঙ্গতি চোখে পড়েনি। তবে অভিযোগপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র তুলার পর বিস্তারিত জানা যাবে। এরপর অভিযোগপত্র নিয়ে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

গেলো বছরের ১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট নগরীর আখালিয়ার এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে সিলেট বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে এনে নির্যাতন করেন ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ পুলিশ সদস্যরা। পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে রায়হান হত্যার পরদিন তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।