দেশের বিভিন্ন স্থানে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

ডিসেম্বর ১৪ ২০২০, ১৩:৫৫

যথাযোগ্য মর্যাদায় হাবিপ্রবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি: স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযোগ্য মর্যাদায় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২০ পালিত হয়েছে।

সোমবার(১৪ ডিসেম্বর) সকালে কালোব্যাচ ধারন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বেদীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম এর পক্ষে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদার পুষ্পমাল্য অর্পন করেন।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,কর্মকর্তা,ছাত্রলীগ হাবিপ্রবি শাখার নেতৃবৃন্দ,কর্মচারি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শহীদ বৃদ্ধিজীবীদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানান।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্যের উপর ভিত্তি করে বাণী প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু আবুল কাসেম।

তিনি তাঁর বাণীতে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি তৈরিতে শহীদ বুদ্ধিজীবীগণ তাঁদের মেধা ও মনন দিয়ে এক গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে দেশের অপামর জনসাধারনসহ বুদ্ধিজীবীরাও মহান স্বাধীনতা সংগ্রামকে বেগবান করেছিলেন। যা পাকিস্থানি ও তাদের এদেশীয় দোসররা মোটেই ভালভাবে গ্রহণ করেনি। ফলে, পরাজয়ের প্রতিহিংসা আগাম চরিতার্থ করতেই তারা বেছে নিয়েছিল ওই নৃশংস হত্যাকান্ড। পাকিস্তানের সামরিক জান্তা পরাজয়ের আগমুহুর্তে পরিকল্পিতভাবে বেছে বেছে হত্যা করেছিল জাতির অগ্রণী শিক্ষক, লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও চিকিৎসকদের। তারা চেয়েছিল সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে।

তিনি তাঁর বাণীতে আরও বলেন, বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকান্ড একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধগুলোর মধ্যে সর্বাধিক পরিকল্পিত আপরাধ। ঠান্ডা মাথায ঘটানো নিধনযজ্ঞ। আজকের এই দিনে আমি জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই কারণ তাঁর সরকার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক বাঁধা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের মাধ্যমে বুদ্ধিজীবীদের হত্যাসহ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের সাথে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচার সুষ্ঠুভাবে করে চলেছেন এবং বিচারের রায়ও কার্যকর হচ্ছে। আমরা প্রত্যাশা করছি সকল বুদ্ধিজীবীদের হত্যায় অভিযুক্তদের বিচার সম্পন্ন করে এবং বিচারের রায় কার্যকরের মাধ্যমে আমরা জাতি হিসেবে কলঙ্কমুক্ত হবো।

বাদ যোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়।

উল্লেখ্য, অসুস্থতাজনিত কারণে অনুষ্ঠানের পুরো সময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম।


ওসমানীনগরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

আহমদ মালিক, ওসমানীনগর থেকে:

সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলার বুরুঙ্গা গনকবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপজেলার মঙ্গলচন্ডী নিশিকান্ত মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে সম্পন্ন হয় আলোচনা সভা।

উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোছা. তাহমিনা আক্তার এর সভাপতিত্বে বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তানিরা, তাদের সাথে রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনী বাংলাদেশের অসংখ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৗশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে তাদের নির্যাতনের পর হত্যা করে।

স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাযজ্ঞ সংগঠিত হয়। বিজয়ের দুই দিন আগে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে লিপ্ত হয়ে ছিল ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে। স্বাধীনতাকামী বাঙালি জাতি যেন মেধায়-মননে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, সে জন্য তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যায় মেতে ওঠে। বিজয় উৎসবের আগে এই দিনটিতে জাতি গভীর বেদনার সঙ্গে স্মরণ করে আসছে স্বাধীনতার জন্য আত্মদানকারী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের।

বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আতাউর রহমান, সহ-সভাপতি আব্দাল মিয়া, উমরপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া,সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান চৌধুরী নাজলু, সাংগঠনিক সম্পাদক আনা মিয়া, থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বনিক, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার চক্রবর্তী, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নেয়ামত শরিফ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাহিমা খানম,উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শিপন আহমদ, উপজেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি চঞ্চল পাল, সমাজ সেবা কর্মকর্তা জয়তী দত্ত, আনসার বিডি নাজমা বেগম, মঙ্গলচন্ডী নিশি কান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদ হাসান।

সভায় উপজেলার রাস্তাঘাটসহ সরকারী গুরুত্বপূর্ন স্থাপনাগুলো এলাকার শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামানুসারে নামকরনের প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জোড় দাবি জানানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।


শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জবির শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন

জবি প্রতিনিধি:

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়েছে।

সোমবার (১৪ ডিসেম্বর-২০২০) সকালে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এর পক্ষে প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এবং রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এরপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম, সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


কুলাউড়ায় পালিত হল শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

মারজান আহমদ, কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) থেকে:

মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলা প্রশাসন ও কুলাউড়া শিশু একাডেমীর আয়োজনে সোমবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আলোচনাসভা, পুরস্কার বিতরন, মিলাদ ও দোয়া অনুষ্টিত হয়।

উপজেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ আবুল বাশার এর সভাপতিত্বে ও শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান তানিয়ার উপস্থাপনায় অনুষ্টানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউএনও এটিএম ফরহাদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা মোঃ বিল্লাল হোসেন ও ইউসিসিএ চেয়ারম্যান ফজলুল হক ফজলু। শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আহনাফ হক ও রাদিন।

সভাশেষে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে প্রধান ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ পুরস্কার বিতরন করেন। সভাশেষে শহীদদের মাগফেরাতের জন্য দোয়া করা হয়।