মৌলভীবাজারে একটি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৪১টি; ভোট গ্রহণের দায়িত্বেও ছিলেন ৪১ জন

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

মার্চ ১৮ ২০১৯, ১৮:১২

একুশে জার্নাল ডেস্ক:
মৌলভীবাজার পৌর এলাকার কাশিনাথ আলাউদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ২ হাজার ৯শত ৯৭ ভোট। এ কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিং অফিসার, আনসার, পুলিশ মিলে ৪১ জন ছিলেন। আলাদাভাবে প্রার্থীর এজেন্টের দ্বায়িত্ব পালন করেন ২১ জন। কেন্দ্রে মোট ভোট পড়েছে ৪১টি। ৯ টি বুথের মধ্যে ৮টি বুথে ভোট পড়েছে। একটি এলাকা (বর্ষিজোড়া ও শমসের নগর সড়ক দক্ষিণ) এর মানুষ ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ায় ১টি বুথে কোন ভোট পরেনি। কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার নিলাদ্রি শেখর দাশ জানান ভোট কম হওয়ায় গননায় বেশী সময় লাগেনি। বিকেল সোয় ৫টার দিকে গননার কাজ শেষ হয়ে যায়।

মৌলভীবাজার পৌর এলাকা ও কমলগঞ্জ উপজেলার ১৫টি কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে ভোটারদের দীর্ঘ সারির কোন দৃশ্য চোখে পড়েনি। কেন্দ্র গুলো হচ্ছে মৌলভীবাজার পৌর এলাকার হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গোবিন্দশ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মৌলভীবাজার টাউন কামিল মাদ্রাসা, মৌলভীবাজ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, কাশিনাথ আলাউদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ, বাজার সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাহ মোস্তফা কলেজ, বড়কাপন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ ছাড়া সদর উপজেলার জগন্নাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাহারমর্দন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মোস্তফাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। অপর দিকে কমলগঞ্জ উপজেলার দেওড়াছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মহেন্দ্র কুমার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কালেঙ্গ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রতাপী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব ভোট কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি ছিল একেবারে নগণ্য।

অনেক কেন্দ্রে নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা কেন্দ্রের ভেতর অলস সময় ও নিদ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় কাটাতে দেখা যায়।
জেরার ৭ উপজেলার ৫১৬টি কেন্দ্রে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ন ভাবে ভোট গ্রহন শেষ হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে ২০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ ৩৫, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ২৮ জন সহ মোট ৮৩ জন প্রতিদন্ধিতা করেন।
রাজনগর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী (নৌকা) আওয়ামীলীগ বর্তমান চেয়ারম্যান আছকির খান প্রতিদন্ধি প্রার্থী কেন্দ্র দখলের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করেছেন। এ উপজেলায় একজন ভাইস চেয়ারম্যানও নির্বাচন বর্জন করেছেন।
পুলিশ, আনসার, বিজিবি ও র‌্যাব মাঠে মোতায়েন ছিল। তারমধ্যে ২ হাজার পুলিশ, ৬ হাজার আনসার, ১৮ প্লাটুন বিজিবি মাঠে কাজ করছে। স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে আইন শৃংখলা বাহিনীর টহলে তৎপর ছিল।