মানবতাবিরোধী অপরাধ: জামায়াত নেতাসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

মে ৩১ ২০২২, ১৪:১৩

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নওগাঁ জেলার জামায়াতের সাবেক আমীর রেজাউল করিম মন্টুসহ তিন জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

দণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি হলো-নজরুল ইসলাম (৬৪) ও মো. শহিদ মণ্ডল (৬২)। তিন আসামির মধ্যে নজরুল ইসলাম এখনও পলাতক।

মঙ্গলবার (৩১ মে) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন। মামলার রায়টি ছিল ১৪৪ পৃষ্ঠার।

গত ২৯ মে এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, আবুল কালাম আযাদ ও তাপস কুমার বল। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর মামলাটির তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে মোট ৩১ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

আসামিদের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগগুলো হলো- ১৯৭১ সালের ৭ অক্টোবর বিকেল আনুমানিক ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সময়ে আসামিরা নওগাঁর বদলগাছী থানাধীন পাহাড়পুর ইউনিয়নের রানাহার গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের নিরীহ-নিরস্ত্র সাহেব আলী, আকাম উদ্দিন, আজিম উদ্দিন মণ্ডল, মোজাফফর হোসেনকে হত্যাসহ ওই সময় ১০ থেকে ১২টি বাড়ি লুট করে অগ্নিসংযোগ করে।

১৯৭১ সালের ৮ অক্টোবর দুপুর আনুমানিক দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সময়ে আসামিরা নওগাঁর বদলগাছী থানার পাহাড়পুর ইউনিয়নের খোজাগাড়ী গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের নিরীহ-নিরস্ত্র মো. নুরুল ইসলামকে হত্যা করে। এ সময় তারা ১৫ থেকে ২০টি বাড়ি লুণ্ঠনের পর অগ্নিসংযোগ করে।

১৯৭১ সালের ৮ অক্টোবর বিকেল আনুমানিক ৫টা থেকে পরদিন, অর্থাৎ ৯ অক্টোবর আনুমানিক বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময়ে নওগাঁর বদলগাছী থানাধীন পাহাড়পুর ইউনিয়নের মালঞ্চা গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের মো. কেনার উদ্দিন এবং মো. আক্কাস আলীকে অবৈধভাবে আটক করে নির্যাতন করে। পরে অপহরণ করে জয়পুরহাটের কুঠিবাড়ি ব্রিজে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। এ সময়ের মধ্যে আসামিরা ৪০ থেকে ৫০টি বাড়ি লুণ্ঠনের পর অগ্নিসংযোগ করে।