মহানবী সা.-কে কটুক্তির প্রতিবাদে ‘সিলেটের সচেতন আলেম সমাজ’র মানববন্ধন, বিক্ষোভ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জুন ০৯ ২০২২, ০৯:০৩

মহানবি হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা (রা.)-কে নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি’র জ্যেষ্ঠ দুই নেতা নূপুর শর্মা এবং নাভিন কুমার জিন্দালের অশালীন বক্তব্যের প্রতিবাদে ‘সিলেটের সচেতন আলেম সমাজ’র উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

বুধবার (৮ জুন) বিকাল সাড়ে ৫টায় নগরীর কোর্ট পয়েন্টস্থ কালেক্টরেট মসজিদের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে আলেম ও মাদরাসাশিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

এদিকে, আসরের নামাজ শেষে নগরীর বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মজসিদের সামনে থেকে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ সিলেট মহানগর শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। পরে সেটি ‘সিলেটের সচেতন আলেম সমাজ’র মানববন্ধনে এসে একাত্মতা পোষণ করে এবং কোর্ট পয়েন্টে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় হাজার হাজার রাসুলপ্রেমী ও তাওহিদি জনতা বন্দরবাজারে সমবেত হন। মিছিলে মিছিলে এসময় প্রকম্পিত হয় পুরো বন্দরবাজার এলাকা।

সমাবেশে মুফতি আহমদ যাকারিয়া, মাওলানা ইকরামুল হক জুনায়েদ ও মাওলানা লুকমান হাকিমের যৌথ পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহিনূর পাশা চৌধুরী, মাওলানা আহমদ সগীর, মাওলানা হাবীব আহমদ শিহাব, মুফতি আহমদ যাকারিয়া, মাওলানা মনজুরে মাওলা, মাওলানা রফিকুল ইসলাম জাকারিয়া, মুফতি জিয়াউর রহমান, মাওলানা নিয়ামত উল্লাহ, মাওলানা রশীদ আহমদ, মাওলানা কবির আহমদ, সাংবাদিক রেজাউল হক ডালিম, মাওলানা আবু সাঈদ মুহাম্মাদ উমর, মাওলানা সাদিকুর রাহমান, মাওলানা সাইফ রাহমান, মাওলানা আদিব আহমদ, মাওলানা শেখ এনাম, মাওলানা এবাদ বিন সিদ্দিক ও আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে মুনাজাত পরিচালনা করেন মুফতি সায়েম ক্বাসেমী।

মানবব্ন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রতিটি মুসলমান নিজের জীবনের চাইতেও বেশি ভালোবাসেন প্রিয় নবি (সা.)-কে। তাই বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে নবি মুহাম্মদ সা.-কে নিয়ে অপমানজনক বক্তব্য কেউ দিলে কোনো একজন মুসলিমও সহ্য করতে পারেন না। এরই ধারাবাহিকতায় ভারতে সম্প্রতি সে দেশের সরকারদলীয় দুই নেতার অশালীন বক্তব্যে বিশ্বের সকল মুসলিম ফুঁসে উঠেছেন। অবিলম্বে ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটবে। সেই বিস্ফোরণের দাবানলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে ভারত।

বক্তারা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেন, উগ্র ও সন্ত্রাসী মনোভাবাপন্ন ভারতের সঙ্গে সকল অর্থনৈতিক এবং কুটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করুন। এতে বিশ্বের দ্বিতীয় মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের পরিচয় ও স্বীকৃতি বজায় থাকবে।