মইজ্জ্যারটেকে হিজড়াদের উৎপাতে অতিষ্ঠ পথচারী

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ডিসেম্বর ১৩ ২০২০, ২৩:৪৩

নিজস্ব প্রতিনিধি:

কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেকে হিজড়াদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ পথযাত্রীরা। বিশেষ করে তানিয়া নামক এক হিজড়ার উৎপাত আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে।

ওর কাছে এলাকাবাসী ও ব্যবসায়িরা অসহায়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও এসব হিজড়াদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। ফলে পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে বাজারের মোড়ে মোড়ে হিজড়া আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, হিজড়ারা উপজেলার মইজ্জ্যারটেকে সিএনজি থেকে যাত্রীরা নামলেই দৌঁড়ে এসে টাকা দাবি করছেন। না দিলে যাত্রীদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ দিচ্ছেন। প্রত্যেক যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা চাইতে থাকেন। কেউ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অঙ্গভঙ্গিতে গায়ে হাত দেন। আজেবাজে কথা বলে গায়ে থুথু ছুঁড়ছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করেন।

কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহিনা সুলতানা বলেন,‘হিজড়ার উৎপাতে পথচারীরা অতিষ্ঠ হলে বিষয়টি দুঃখজনক। অবহেলিত এ সম্প্রদায়কে সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মইজ্জ্যারটেকের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারি দেখা হবে।’

যদিও হিজড়াদের টাকা তোলা নতুন কিছু নয়। আগে মানুষ যা দিত, তা নিয়েই খুশি থাকত হিজড়ারা। কিন্তু ইদানীং তাদের আচরণ বদলে গেছে। রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি, দোকানপাট যেখানে-সেখানে টাকার জন্য মানুষকে নাজেহাল করছে তারা। চরপাথরঘাটার ব্রিজঘাটেও সপ্তাহে দুবার টাকা তোলেন এরা।
হিজড়াদের মূল উদ্দেশ্য মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ উর্পাজন।

এ বিষয়ে কর্ণফুলী থানার নবাগত ওসি মো. দুলাল মাহমুদ বলেন, আসলে হিজড়াদের ব্যাপারে অনেক অভিযোগ এলেও মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তবে কেউ যদি আইনশৃঙ্খলা অবনতি করলে পুলিশ ব্যবস্থা নিবে।’

মইজ্জ্যারটেকে আসা মো. জাহেদুল ইসলাম নামক একযাত্রী বলেন, চাতুরী চৌমুহনী থেকে সিএনজিতে উঠে মইজ্জ্যারটেকে গাড়ি নামতেই একজন হিজড়া টাকা খুঁজেন। প্রথমে টাকা দিতে চাইনি। এতে তিনি বেপরোয়া হয়ে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে থাকেন। পরে বাধ্য হয়ে ২০ টাকা দিতে হল।

জাহাঙ্গীর নামের আরেকযাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,কর্ণফুলীতে হিজড়াদের অত্যাচারে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। পুলিশও এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। হিজড়াদের এসব কর্মকান্ড চাঁদাবাজি পেশায় পরিণত হয়েছে।

পূর্ণবাসন বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তানিয়া আলম বলেন, হিজড়াদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সরকার বহু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সরকার হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে পরিচয় নির্ধারণসহ বহু প্রকল্প হাতে নিয়েছেন।’