ভোলায় মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় দুই মাসের জন্য মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মার্চ ০১ ২০২০, ০০:১৬

আব্দুল হান্নান: ভোলা প্রতিনিধি।
ইলিশের অভয়াশ্রম গড়ে তুলতে ভোলার মেঘনা-তেতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিদফতর। একই সঙ্গে বাজারে ইলিশ বিক্রি ও পরিবহন বন্ধ থাকবে। ডিম ছাড়ার পর ইলিশের বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতেই এ আইন থাকাকালীন জেলেরা নদীতে জাল ফেলতে পারবেন না।

প্রতিবছর জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত জাটকা ধরার মৌসুম হলেও মার্চ এবং এপ্রিল মাসে সর্বোচ্চ ৬০-৭০ ভাগ জাটকা ধরা পড়ে। তাই জাটকা ইলিশের পাঁচটি প্রধান বিচরণ ক্ষেত্র নির্ণয় করে পদ্মা ও মেঘনা নদী, শাহবাজপুর চ্যানেল, তেঁতুলিয়া নদী ও আন্দারমানিক নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়। এ আইনের আওতায় রয়েছে ভোলা, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনাসহ কক্সবাজারেরও কিছু অংশ। এদিকে এ কর্মসূচি সফল করতে মৎস্য বিভাগ ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করেছে।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আজাহারুল ইসলাম জানান, ইলিশের অভয়স্থলের ৩২০ কিলোমিটারের মধ্যে ভোলারই রয়েছে ১৯০ কিলোমিটার এলাকা। এলাকাগুলো হচ্ছে সদর উপজেলার ইলিশা থেকে মনপুরার চরপিয়াল পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার ও সদর উপজেলার ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালীর চররুস্তম পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার।
যারা সরকারি আইন অমান্য করে মৎস্য শিকার করবে তাদেরকে এক বছর বা দুই বছর দন্ডিত করা হবে অথবা 5 হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।

ইলিশ রক্ষায় অভিযানে থাকবে মৎস্যবিভাগ, পুলিশ,নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ড এর সদস্যরা।

তিনি আরো জানান, জেলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা রয়েছে ৭০ হাজার ১২৮ জন। এদের মধ্যে গতবছর ৫২ হাজার ১৩০ পরিবারকে ৪০ কেজি করে ভিজিএফ চাল দিয়েছে সরকার।

এবারও এসব জেলেদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
এর মধ্যে ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ৪ মাস পর্যন্ত প্রতি জেলে মাসে ৪০কেজি করে চাল পাবে। আগামী সপ্তাহ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে জেলেদের দুই মাসের চাল বিতরণ করা হবে।

এদিকে জেলেদের ইতিমধ্যে নদী ছেড়ে পাড়ে ফিরতে শুরু করেছে। অপরদিকে জেলেপল্লী ও নদীপাড় এলাকায় মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। এদিকে দুই মাসের বেকার হয়ে পড়েছেন মেঘনা – তেতুলিয়ার দুই লাখের বেশি জেলে। ফলে অভাব-অনটন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়তে হচ্ছে তাদের।