ভোট দিন সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে | এহসান বিন মুজাহির

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

ডিসেম্বর ২৮ ২০১৮, ০৯:৫৯

৩০ ডিসেম্বর রবিবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।জনগণের ন্যায্য অধিকার ও সুশান সুপ্রতিষ্ঠিত করতে আদর্শবান, সৎ ও যোগ্য ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা অর্পণ করার লক্ষ্যে জাতীয় এবং স্থানীয় নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা উচিত। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও নির্বাচনে প্রত্যেক ভোটারের ভোট প্রদান করা নৈতিক দায়িত্ব। ভোট যেহেতু বিশেষ একটি আমানত, তাই ভোটকে যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করা উচিত নয়।

ভোট সাধারণ কোনো বিষয় নয়। ভোট দেয়া মানে সাক্ষ্য প্রদান ও সত্যায়ন করা। কাউকে ভোট দেয়ার অর্থ হল তার ব্যাপারে এই মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করা যে, তিনি সৎ ও যোগ্য। দেশের উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা এবং জনগণের অধিকার আদায়ে তিনিই সবচেয়ে উপযুক্ত। ভোটারদের ভোটের মাধ্যমেই জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করা হয়। আর প্রতিনিধি শুধু ভোটদাতার সঙ্গে নয়, পুরো জাতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

কেউ সৎ, যোগ্য, আদর্শবান না হলেও তাকে ভোট দেয়া এবং তার ব্যাপারে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে সত্যায়ন করা একই কথা। অর্থাৎ কোনো নির্বাচনী এলাকায় ভালো, সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে প্রার্থী করা হলে তাকে ভোট না দিয়ে অসৎ ও অযোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও গুনাহরর কাজ।

ইসলামের দৃষ্টিতে, সৎ প্রার্থীর বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও সৎ প্রার্থীকেই ভোট দিতে হবে নতুবা আমানতের খেয়ানত হবে। তবে আপনার ভোটের কারণে যদি কোনো প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে যান, এতে পরবর্তীকালে তিনি যা যা ভালো কাজ করবেন তার সওয়াব আপনিও পাবেন। আর যদি আপনার একটি ভোটের কারণে কোনো অসৎ ব্যক্তি নির্বাচনে জয়ী হয় এবং এর ফলে জনগণ অধিকার থেকে হয় বঞ্চিত, তাহলে ওই ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার জন্য আপনাকে শেষ বিচারে আল্লাহর কাছে জবাব দিতে হবে। প্রার্থী সম্পর্কে জানার পরও অসৎ ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে সেই ব্যক্তি পরবর্তী সময়ে যত অসৎ কর্মকাণ্ড সম্পাদন করবে, সেই পাপের ভাগীদার হবে ওই ভোটাররাও।

নির্বাচনে টাকা ছড়িয়ে এবং বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে অনেক প্রার্থী ভোট সংগ্রহ করে, যা অনৈতিক এবং ইসলামের দৃষ্টিতেও সম্পূর্ণ হারাম। কাজেই জাতীয় নির্বাচনে অসৎ ও অযোগ্য প্রার্থীদের বর্জন করুন। সৎ ও যোগ্য প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জয়ী করুন।

এহসান বিন মুজাহির: প্রিন্সিপাল, শ্রীমঙ্গল আইডিয়াল স্কুল।