ভিত্তিহীন মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ; মাওলানা আলতাফুর রহমান সাদেকীর নিন্দা ও প্রতিবাদ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

সেপ্টেম্বর ০৬ ২০২৩, ১২:৫৮

গত ৪ সেপ্টেম্বর “দৈনিক আমাদের কন্ঠ” অনলাইন পোর্টালে এই নির্জলা মিথ্যা সংবাদ প্রচারিত হয় বলে তিনি দাবি করেন। “নারী কর্মীর সাথে অবৈধ কর্মে লিপ্ত থাকতেন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল” শিরোনামে যে নিউজটি প্রকাশিত হয়েছে তা সার্বৈব মিথ্যা দাবি করেছেন মাওলানা আলতাফুর রহমান সাদেকী।

তিনি বলেন, মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ওঁতপেতে বসে থাকা কিছু মাদ্রাসা বিরোধী একটা চক্র সক্রিয় ছিল, এখনো আছে। বিরোধী এই চক্রের পিছুটান মোকাবেলা করে এই পর্যন্ত মাদ্রাসার বিল্ডিং এর কাজ শুরু করতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ। এতে তাদের গাত্রদাহ আরো বেড়ে যায়। বুনতে শুরু করে ষড়যন্ত্রের নিত্য নতুন জাল, যোগ করেন তিনি । তিনি আরো বলেন, এমনিতেই কওমী এবং মহিলা মাদ্রাসা বিরোধী একটা চক্র আমাদের দেশে হর হামেশাই দেখা যায়। এই চক্র তাল মিলিয়েছে তাদের সাথে। দ্বীনি একটা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য যারা যেভাবে চক্রান্ত করছে আল্লাহর কাছে এর বিচার কামনা করছি। তিনি বলেন, হিসাব নিকাশের যে অভিযোগ তারা তুলেছে, তা মাদ্রাসার হিসাব বক্সে দৈনন্দিন, সপ্তাহিক ও মাসিক হিসাব, হিসেবে সংরক্ষিত আছে। যে কেউ গিয়ে দেখে আসতে পারেন। বাৎসরিক রিপোর্ট আমরা মাদ্রাসার সম্মেলনে উপস্থাপন করেছি সকলের উপস্থিতিতে। কোন গরমিল থাকলে কমিটির সদস্যবৃন্দ অবশ্যই আপত্তি করতেন। তাঁরা তো সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। আমি নতুন বাড়ি তৈরি করেছি অঢেল সম্পত্তি করেছি মর্মে যে মিথ্যাচার করা হয়েছে তা সরেজমিনে আমার বাড়িতে উপস্থিত হলে যে কোন সহজ সরল ব্যক্তি ও দেখতে পারবেন, আমার বাবার তৈরি পুরাতন ঘর ছাড়া নতুন কোন ঘর আমি বাড়িতে তৈরি করিনি। আমার ব্যাংক ব্যালেন্স স্টেটমেন্ট দেখলে বুঝতে পারবেন আমি কতটা নিঃস্ব মানুষ। মাদ্রাসার পিছনে দিনরাত পরিশ্রম করে নিজের জন্য আলাদা কিছু করার প্রয়োজন মনে করিনি। মাদ্রাসা উন্নতি হওয়া আমার নিজের উন্নতি ধরে নিয়েছি। পৃথক করে আমার কোন সম্পত্তির চিন্তাই আমি কখনো করি নাই, বলে জানান তিনি। আরো বলেন, মাদ্রাসা বিরোধী এই চক্রটির চক্রান্ত আজ নতুন নয়। ইতি পূর্বে আরেকটি মাদ্রাসা দখলের জন্য তারা পায়তারা করেছিল। সরে জমিনে তদন্তে আসলে আমরা দেখিয়ে দিব। সেই মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের সাথে কথা বলিয়ে দেবো। সেই মাদ্রাসার প্রিন্সিপালকে চোর সাব্যস্ত করার জন্য ভাঙ্গা টেলিভিশন তাঁর বাসার নিচে রাখা হয়েছিল। এই চক্রটি আবার সক্রিয় হয়েছে। আমি প্রকাশিত এই সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি, সাথে সাথে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছি, আমার নৈতিক কোন স্খলন প্রমাণ করতে পারলে মুচলেকা দিয়ে সরে দাঁড়াবো।

তিনি বলেন, মাদ্রাসা থেকে আমি অব্যাহতি নেইনি। আমাকে দেওয়াও হয়নি। আমি অসুস্থতা জনিত ছুটি চেয়েছি এবং তাই পেয়েছি। যারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে এবং এই অপকর্মে সহযোগিতা করেছে সকলের বিরুদ্ধে আমি মানহানি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তারা যদি আমার কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা না করে আমি অবশ্যই মানহানি মামলা করব। জড়িত কাউকে আমি ছাড় দিব না। আমি পরম আত্মবিশ্বাসের সাথে বলছি, সত্য সমাগত, মিথ্যা বিতাড়িত, সত্য একসময় প্রস্ফুটিত হবেই, ইনশাআল্লাহ।