ভালোবাসা দিবস, বাস্তবতা কী? | মুফতি আহমদ যাকারিয়া

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

ফেব্রুয়ারি ১৪ ২০১৯, ১৬:২৪

১৪ ই ফেব্রুয়ারি সারাবিশ্বে পরিচিত একটি নাম “বিশ্ব ভালবাসা দিবস” বা ”ভ্যালেন্টাইনস ডে”।

ভালোবাসা দিবস কি?এক নোংরা ও জঘন্য ইতিহাসের স্মৃতিচারণের নাম বিশ্ব ভালবাসা দিবস। এ ইতিহাসটির বয়স সতের শত সাঁইত্রিশ বছর হলেও ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস’ নামে এর চর্চা শুরু হয় সাম্প্রতিক কালেই।

ভালোবাসা দিবসের উদ্ভব-

বেশ কয়েকটি গল্প পাওয়া যায় এই দিবস সম্পর্কে। তার মধ্যে কয়েকটি…………

গল্প নং-১
রোমের সম্রাট দ্বিতীয় “ক্লডিয়াস”র আমলের ধর্মযাজক ‘সেন্ট ভ্যালেনটাইন’ ছিলেন শিশুপ্রেমিক, সামাজিক ও সদালাপী এবং খৃষ্টধর্ম প্রচারক। এদিকে রোম সম্রাট ছিলেন বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজায় বিশ্বাসী। ঐ সম্রাটের পক্ষ থেকে তাকে দেব-দেবীর পূজা করতে বলা হলে ভ্যালেন্টাইন তা অস্বীকার করায় তাকে কারারুদ্ধ করা হয়। সম্রাটের বারবার খৃষ্টধর্ম ত্যাগের আজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করলে ২৭০ খৃস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয় আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে ‘ভ্যালেন্টাইনকে’ মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন।

গল্প নং-২
সেন্ট ভ্যালেন্টাইন কারারুদ্ধ হওয়ার পর প্রেমাসক্ত যুবক-যুবতীদের অনেকেই প্রতিদিন তাকে কারাগারে দেখতে আসত এবং ফুল উপহার দিত। তারা বিভিন্ন উদ্দীপনামূলক কথা বলে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে উদ্দীপ্ত রাখত। এক কারারক্ষীর এক অন্ধ মেয়েও ভ্যালেন্টাইনকে দেখতে যেত। অনেকক্ষণ ধরে তারা দু’জন প্রাণ খুলে কথা বলত। এক সময় ভ্যালেন্টাইন তার প্রেমে পড়ে যায়। সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের আধ্যাত্মিক চিকিৎসায় অন্ধ মেয়েটি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পায়। ভ্যালেন্টাইনের ভালবাসা ও তার প্রতি দেশের যুবক-যুবতীদের ভালবাসার কথা সম্রাটের কানে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ২৬৯ খৃষ্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাকে মৃত্যুদন্ড দেন।

গল্প নং-৩
খৃষ্টীয় ইতিহাস মতে, ২৬৯ খৃষ্টাব্দের কথা; সাম্রাজ্যবাদী রোমান সম্রাট ‘ক্লডিয়াস’র দরকার এক বিশাল সৈন্যবাহিণীর। কিন্তু কেউ তার সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে রাজি নয়। সম্রাট লক্ষ্য করলেন যে, অবিবাহিত যুবকরা যুদ্ধের কঠিন মুহূর্তে অত্যধিক ধৈর্যশীল হয়। ফলে তিনি যুবকদের বিবাহ কিংবা যুগলবন্দী হওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। যাতে তারা সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে অনীহা প্রকাশ না করে। তার এ ঘোষণায় দেশের যুবক-যুবতীরা ক্ষিপ্ত হয় পড়ে। যুবক ‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইন’ নামের এক ধর্মযাজকও সম্রাটের এ নিষেধাজ্ঞা কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি। প্রথমে তিনি ‘সেন্ট মারিয়াসকে’ ভালবেসে বিয়ের মাধ্যমে রাজার আজ্ঞাকে প্রত্যাখ্যান করেন এবং তার গীর্জায় গোপনে বিয়ে পড়ানোর কাজও চালাতে থাকেন। কিন্তু এ বিষয়টি এক সময়ে সম্রাট ক্লডিয়াসের কানে গেলে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। ২৭০ খৃষ্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি সম্রাট তাকে হত্যার আদেশ দেন।

ইতিহাসে এভাবেও আছে।

ভ্যালেনটাইন’স ডে’তে চুম্বনের দ্বারা প্রেম ও রোমান্সের প্রতি আনুগত্যের প্রদর্শনী করা হয়। এর মাধ্যমে উদযাপন করা হয় দিনটি। কিন্তু ক্যান্ডি বিতরণ ও কিউপিড সাজা’র এই উত্সবের রয়েছে এক কালো ও রক্তাক্ত ইতিহাস – যা’র বেশ খানিকটা তালগোল পাকানো। এই পর্বের শুরু’র দিনগুলি সম্পর্কে কেউ সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলতে চান না। তবে, এর ইতিহাস বুঝতে হলে প্রাচীন রোম থেকে শুরু করতে হবে। সেখানে পুরুষের হাতে মহিলাদের পেটানো’র উৎসবের আয়োজন করা হতো।

সেই জংলী রোমান জনগোষ্ঠী।

প্রতি বছর ১৩ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি, রোমানরা “লুপারক্যালিয়া” নামে এক কুরুচিপূর্ণ উৎসব পালন করতো। এই সময় পুরুষরা একটি ছাগল এবং একটি কুকুর জবেহ করে উত্সর্গ করতো; তারপর জবেহ হওয়া প্রাণীগুলোর পাকানো চামড়া দিয়ে তাদের ‘নিজেদের বাছাই করে নেওয়া’ মেয়েদের পেটাতো।
কলোরাডো ইউনিভার্সিটি’র ইতিহাসের প্রফেসর নোয়েল লেন্সকি জানাচ্ছেন, এই উৎসবের সময় রোমান রোমান্টিকরা “চরম মাতাল ও নগ্ন হয়ে থাকতো”। এই তিন দিন পুরুষের মার খাওয়ার আশায় তরুণী মেয়েরা লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতো। পুরুষের মার খেলে তাদের বাচ্চা পয়দা করার শক্তি জাগবে বলে তারা বিশ্বাস করতো! এই নোংরা নির্মমতার মধ্যে ‘ম্যাচমেকিং লটারি’ও অন্তর্ভুক্ত ছিল। লটারিতে ছোকরা
নওজোয়ানরা একটি বোতলের ভেতর থেকে কোনো মেয়ের নাম বাছাই করে তুলে নিতো। তারপর, ওই জুটিকে উৎসবের তিন দিন একসাথে থাকতে হতো; ছেলেটি চাইলে ওই তিন দিনের পরেও মেয়েটিকে স্থায়ীভাবে রেখে দিতে পারতো! এ’কালের “মোহাব্বত দিবস” এর সাথেও প্রাচীন রোম এর নাম জড়িয়ে আছে। খৃস্টীয় তৃতীয় শতকের দু’টি আলাদা বছরে রোমান বাদশাহ দ্বিতীয় ক্লডিয়াস দু’জন ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন; দণ্ডিত দু’জনেরই নাম ছিল “ভ্যালেন্টাইন”; দু’জনেরই মৃত্যুর তারিখ ছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি। ধর্মবিশ্বাসের জন্য তাঁদের এই “শাহাদাত”কে সম্মানিত করার লক্ষ্যে এরপর থেকে ক্যাথলিক চার্চ প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি’র দিন “সেন্ট ভ্যালেন্টাইন’স ডে” পালন করা শুরু করে।

এরপর পঞ্চম শতকে পোপ প্রথম জেলাসিয়াস “লুপারক্যালিয়া”র সাথে “সেন্ট ভ্যালেন্টাইন’স ডে”কে মিলিয়ে তালগোল পাকিয়ে দিয়ে যান। অবশ্য তাঁর আসল উদ্দেশ্য ছিল, “লুপারক্যালিয়া” উদযাপনের পৌত্তলিক ধর্মানুষ্ঠানগুলি ধাপে ধাপে রদ করে দেওয়া।

কিন্তু সময়ের সাথে সাথে, এই উৎসবটি’র আসল অনুষ্ঠানিকতাগুলি’র সাথে বিভিন্ন নাটকীয় অপব্যাখ্যা যোগ করা হতে থাকে। একসময় এই উৎসবটি অপব্যাখ্যা’র চেয়েও বেশী কিছু হয়ে উঠলো। লেন্সকি এ সম্পর্কে বলেছেন, “এটা এক রকম মাতাল আনন্দ উদযাপনের চেয়ে বেশী কিছু ছিলনা, কিন্তু খ্রিস্টানরা তার উপর কাপড় পড়িয়ে দিলো। তবে, তারাও এই দিনটাকে “প্রজনন ও প্রেম” এর দিন হিসেবে উদযাপন করা বন্ধ করে দেয়নি।”

ওদিকে, বছরের একই দিন নরমান’রা পালন করতো “গ্যালাটিন’স ডে”। “গ্যালাটিন” শব্দের মানে হলো, “নারী প্রেমিক।” সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র সঙ্গে এই উৎসবকে মিলিয়ে একটি বিভ্রান্তি সৃষ্টি’র অবকাশ থেকে যায়; কারণ, শুনতে গেলে দুটোকেই অংশতঃ এক রকম বলে মনে হয়।

“শেক্সপীয়ার ইন লাভ”।

বছর বছর এই পর্বটি’র সাথে যোগ করা হতে থাকলো হরেক রকম ‘মিঠেল ও সুস্বাদু’ উপাদান। চসার ও শেক্সপিয়ার তাঁদের লেখালেখি দিয়ে এ’কে একটা রোমান্টিক ব্যাপার হিসেবে তুলে ধরলেন। প্রথমে ব্রিটেন ও পরে ইয়োরোপের অন্য দেশগুলোতে এর মোটামুটি এক ধরণের জনপ্রিয়তা পরে উঠলো। এই দিনে হাতে তৈরী কাগুজে কার্ড এর দয়া-নেয়া মধ্যযুগের ইয়োরোপে পপুলার কালচারে পরিণত হয়। ফরাসী ভাষায় এই কার্ড এর নাম রাখা হয় “tokens-du-jour”, মানে “দিনের নিদর্শন”।

অবশেষে, এই ঐতিহ্য এসে পৌঁছলো “নিউ ওয়ার্ল্ড” বা আমেরিকায়। শিল্প বিপ্লবের কারণে ১৯ শতকে প্রচুর কারখানা স্থাপিত হলো। কারখানার তৈরি কার্ড বিক্রির ছিল শুরু হলো দেদারসে।১৯১৩ সালে, ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস সিটি’তে প্রথম ব্যাপক আকারে “হলমার্ক কার্ড” চাপিয়ে বিক্রি করা শুরু হয়। সেই থেকে ফেব্রুয়ারী মাসে কার্ড বিতরণের হিড়িক চলে আসছে। বর্তমান জমানায় “ভ্যালেন্টাইন্স ডে” একটি বড় ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে: বাজার গবেষণা ফার্ম “আইবিআইএস ওয়ার্ল্ড” এর হিসাব মোতাবেক, ২০১০ সালে ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে $১৭৬০ কোটি মূল্যের কার্ড বিক্রি হয়েছিল; ২০১১ সালে এর বিক্রি ধরা হয়েছিল $১৮৬০ কোটি। কিন্তু অনেকে বলছেন বাণিজ্যিকীকরণ এi দিনটিকে বরবাদ করে দিয়েছে। রুটগর্স ইউনিভার্সিটি’তে কর্মরত সোশিওলজিস্ট হেলেন ফিশার বলছেন, “এর জন্য আমরা কেবল নিজেদেরকে দোষারোপ করতে পারি।”

তিনি আরো বলেন, “এটি রাজা’র হুকুমে অনুষ্ঠিত কোনো নাটক অভিনয়ের মত ব্যাপার নয়। যদি মানুষ হলমার্ক কার্ড কিনতে না চায়, তাহলে তা কেনা হবে না, এবং হলমার্কের ব্যবসা শেষ হয়ে যাবে।” সে কারণেই ভ্যালেনটাইন ডে’র উদযাপন নানা উপায়ে চলে আসছে। অনেকে তাদের প্রিয়জনের জন্য ব্যাংক ভেঙে জেওর [জুয়েলারি] ও ফুল কিনবে। অন্যেরা “SAD” [Single Awareness Day] বা “একাকীত্ব সচেতনতা দিবস” উদযাপন করবে, নিজেকে নিজের উপহার দেয়া চকোলেট চুষতে চুষতে একা খাওয়া-দাওয়া করবে।

বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবসের আবির্ভাব-

১৯৯৩ সালের দিকে বাংলাদেশে বিশ্ব ভালবাসা দিবসের আর্বিভাব ঘটে। ‘যায়যায় দিন’ পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমান। তিনি পড়াশোনা করেছেন লন্ডনে। পাশ্চাত্যের ছোঁয়া নিয়ে দেশে এসে লন্ডনী সংস্কৃতির প্র্যাকটিস শুরু করেন। তিনি প্রথম ‘যায়যায় দিন’ পত্রিকার মাধ্যমে বিশ্ব ভালবাসা দিবস বাংলাদেশীদের কাছে তুলে ধরেন। অভিধা প্রথম ব্যবহার করেন শফিক রেহমান। এজন্য শফিক রেহমানকে বাংলাদেশে ভালবাসা দিবসের জনক বলা হয়।

ইসলামী শরীয়াত মোতাবেক ভালোবাসা দিবস-

আল্লাহ তা’আলা আমাদের জন্য ইসলামকে জীবন ব্যবস্থা হিসেবে বাছাই করেছেন। তিনি বলেন:
“এবং যে কেউই ইসলাম ছাড়া অন্য কোন জীবন-ব্যবস্থা আকাঙ্খা করবে, তা কখনোই তার নিকট হতে গ্রহণ করা হবে না, এবং আখিরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্তদের একজন ৷” (সূরা আলে ইমরান, ৩:৮৫)
এবং নবী(সা.) বলেছেন, এই উম্মতের মধ্যে কিছু লোক বিভিন্ন ইবাদতের প্রক্রিয়া ও সামাজিক রীতিনীতির ক্ষেত্রে আল্লাহর শত্রুদের অনুসরণ করবে ৷ আবু সাঈদ আল খুদরী(রা.) বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ(সা.) বলেন:
“তোমরা অবশ্যই তোমাদের পূর্ববর্তীদের অনুসরণে লিপ্ত হয়ে পড়বে, প্রতিটি বিঘৎ, প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্যে [তাদের তোমরা অনুসরণ করবে], এমনকি তারা সরীসৃপের গর্তে প্রবেশ করলে, তোমরা সেখানেও তাদেরকে অনুসরণ করবে ৷” আমরা বললাম, “হে রাসূলুল্লাহ! তারা কি ইহুদী ও খ্রীস্টান?” তিনি বললেন: “এছাড়া আর কে?” (বুখারী, মুসলিম)

আজ মুসলিম বিশ্বের বহু স্থানে ঠিক এটাই ঘটছে, মুসলিমরা তাদের চাল-চলন, রীতিনীতি এবং উৎসব উদযাপনের ক্ষেত্রে ইহুদী ও খ্রীস্টানদের অনুসরণ করছে ৷ টিভি, পত্রপত্রিকা, ম্যাগাজিন, স্যাটেলাইট চ্যানেল, ইন্টারনেটের মত মিডিয়ার প্রচারে কাফিরদের অনুসৃত সমস্ত রীতিনীতি আজ মুসলিমদের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে এবং এর অনুসরণ ও অনুকরণ সহজতর হয়ে উঠেছে ৷ মুসলিম সমাজে প্রচলিত এরূপ বহু অপসংস্কৃতির সাথে একটি সাম্প্রতিক সংযোজন হচ্ছে “ভ্যালেন্টাইনস ডে” যা “ভালবাসা দিবস” নামে বাঙালী মুসলিম সমাজের যুবক-যুবতীদের মাঝে ঢুকে পড়েছে এবং ক্রমেই এটা জনপ্রিয়তা লাভ করছে। পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এ দিবসটি পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে। ইসলামের আলোকে ভালবাসা দিবসকে মূল্যায়ন করে বাঙালী মুসলিম সমাজের মুসলিম যুবক-যুবতীদের সঠিক বোধশক্তি ফিরিয়ে আনতে হবে।তাদেরকে কাফিরদের অন্ধ অনুসরণ থেকে নিবৃত্ত করতে হবে৷ নিশ্চয়ই ইহুদী ও খ্রীস্টানসহ অন্যান্য কাফিরদের সংস্কৃতির অনুসরণের পরিসমাপ্তি ঘটবে জাহান্নামের আগুনে। আমাদের উচিত সঠিকভাবে যুবসম্প্রদায়কে বুঝিয়ে জাহান্নামের পথ থেকে ফিরিয়ে জান্নাতের প্রশান্তির দিকে আহবান করা ৷ আল্লাহ সবাইকে সত্যের পথে পরিচালিত করুন। “আমিন”