বড়লেখা-জুড়ী রেড জোন নয়: করোনায় জেলার জোন বিভাজন

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জুন ১৬ ২০২০, ০০:৩৮

এম.এম আতিকুর রহমান, বড়লেখা-জুড়ী প্রতিনিধি: করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে আক্রান্তের অবস্থা বিবেচনায় রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত অঞ্চলকে রেড জোন আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। বাকিগুলোকে ইয়েলো ও গ্রিনজোনে ভাগ করা হচ্ছে। অবশ্য এখনো মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলা রেড জোনের আওতা মুক্ত রয়েছে।

চলমান প্রেক্ষাপটে পর্যটন ও প্রবাসী অধ্যুষিত মৌলভীবাজার জেলার কোন এলাকা কোন জোনে পড়েছে- এ নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহের শেষ নাই।

মৌলভীবাজারের সংক্রমণ হার বিবেচেনা করে দেখা গেছে অধিকাংশ এলাকাই পড়েছে ইয়েলো ও গ্রিনজোনে। তবে কিছু অংশ পড়েছে রেড জোনে।

রেড জোনে যে যে এলাকা-
মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে- শ্রীমঙ্গল পৌরসভা এবং সদর ইউনিয়নের কিছু অংশ রেড জোনে পড়েছে। এছাড়া কুলাউড়া পৌরসভা এবং পৌর শহর সংলগ্ন কিছু এলাকা রেড জোনে পড়েছে।

জানা যায়- শ্রীমঙ্গলের কালিঘাট রোড, মিশন রোড, রুপসপুর, সবুজভাগ, মুসলিমবাগ, লালবাগ এবং বিরাইমপুর, কুলাউড়ার মাগুরা-মনসুর, নন্দনগর রেড জোনে পড়েছে।
জেলার বাকি সব এলাকা ইয়েলো এবং গ্রিনজোনে পড়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন ডা. তওহীদ আহমদ বলেন- সংক্রমণের হার বিশ্লেষণ করে মৌলভীবাজারের প্রত্যেক উপজেলা ও ইউনিয়নের রেড, গ্রিন ও ইয়েলো জোনে ভাগ করা হয়েছে। আজ ১৫ জুন সোমবার মন্ত্রণালয়ে সেটা প্রেরণ করা হয়েছে। যা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের মাধ্যমে সমন্বয় করে বাস্তবায়ন করা হবে।

যেভাবে জোন ভাগ হয়-
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো এলাকায় ১ লাখের মধ্যে ১০ জন করোনা আক্রান্ত হলে রেড জোন। ৩ থেকে ৯.৯ শতাংশ আক্রান্ত হলে ইয়েলো জোন। আর ০ থেকে ২.৯ শতাংশ আক্রান্ত হলে গ্রিন জোন।

জানা গেছে, রেড জোন চিহ্নিত এলাকায় পুরো লকডাউন করে দেওয়া হবে। এ জোনের কেউ বাইরে যেতে বা বাইরে থেকে কেউ এ জোনের ভেতরে যেতে পারবে না। এ জোনের দোকানপাট, বিপণিবিতান, সরকারি-বেসরকারি কার্যালয় সব বন্ধ থাকবে। এমনকি এ জোনে ঘরে বসে নামাজ আদায় করতে নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন- সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা জোন ভিত্তিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

মৌলভীবাজার জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯১

জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯১ জন, সুস্থ হয়েছে ৬৯ জন, মারা গেছেন ৪ জন। তবে ৬ শতাধিক রিপোর্ট এখনো অপেক্ষমান রয়েছে।

সিভিল সার্জন ডা. তওহীদ আহমদ বলেন, অন্য জেলার তুলনায় মৌলভীবাজারে আক্রান্তের হার এখনো কম। যে কারণে জেলার অধিকাংশ এলাকা পড়েছে ইয়েলো ও গ্রিন জোনে। তিনি বলেন- করোন সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষকে সচেতন হতেই হবে। এর কোন বিকল্প নেই। আগামী ২ মাস আমাদের জন্য বিপদজনক হতে পারে। সাবধানতাই এ বিপদ উত্তরণের সম্বল। সংশ্লিষ্ট সকলকে নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথ পালন এবং সকলের কল্যাণে সচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার করা সময়ের দাবি।