ব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

ফেব্রুয়ারি ১৬ ২০২১, ১৩:৪১

ব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

একুশে জার্নাল: লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবনের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এরা সবাই নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্য। এছাড়া এদের প্রত্যেককেই ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। ১২টা ১০ মিনিটে বিচারক আদালতে আসেন। রায় পড়া শুরু করেন ১২টা ১২ মিনিটে। রায় পড়ার সময় মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা ৪ আসামী। এ মামলার দুই আসামি পলাতক রয়েছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বরখাস্তকৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ, আবু সিদ্দিক সোহেল, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান সাজ্জাদ ওরফে শামস্। আর শফিউর রহমান ফারাবীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। গত ২১ জানুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ২৮ জন সাক্ষ্য দেন। মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় অভিজিতের স্ত্রী বন্যাও গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলা করেন।

হত্যাকাণ্ডের তদন্তে পুলিশকে সহায়তা করতে ঢাকায় আসে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা-এফবিআই। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা সবাই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য বলে দাবি করে পুলিশ। এদিকে ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম এ মামলায় ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর এই আদালতে ২০১৯ সালের ১ আগস্ট ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।