ব্যানারে ‘জয় বাংলা’ না লেখায় ইউএনওকে বের করে দিলেন রেলমন্ত্রী

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

মার্চ ০৭ ২০২৩, ১৭:৫২

ব্যানারে ‘জয় বাংলা’ না লেখায় ইউএনওকে বের করে দিলেন রেলমন্ত্রী

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে সরকারি অনুষ্ঠানের ব্যানারে ‘জয় বাংলা’ না লেখাকে কেন্দ্র করে মন্ত্রীর হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গোলাম ফেরদৌস।

গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার সুন্দরদীঘি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী ও পঞ্চগড়-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন।

ইউএনওকে জয় বাংলা লিখতে বললে তিনি গেজেট দেখতে চান বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাৎ জামান চৌধুরী জর্জ। বিষয়টি রেলমন্ত্রীকে জানানো হলে তিনি রেগে গিয়ে গোলাম ফেরদৌসকে হাত ধরে সেখান থেকে বের হয়ে যেতে নির্দেশ দেন। ঘটনার পর প্রকাশ হওয়া একটি ভিডিও থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

ভিডিওতে দেখা যায়, আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলনের পর রেলমন্ত্রী উপস্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় হাসনাৎ জামান ব্যানারে জয় বাংলা না লেখায় মন্ত্রীকে অভিযোগ দেন।

বিষয়টি জানতে পেরে উপস্থিত সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা ইউএনওকে উদ্দেশ্য করে স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে রেলমন্ত্রী রেগে গিয়ে ইউএনও গোলাম ফেরদৌসের হাত ধরে অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিতে দেখা যায়। পরে ইউএনও ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, মন্ত্রীর উপস্থিতিতে আমরা অনেক প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেছি। তার অনেকগুলোতে ব্যানারে জয় বাংলা লেখা ছিল না। সে সময় কোনো সমস্যা না হলেও আজ একই বিষয়কে কেন্দ্র করে একটি মহল অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছে। যা খুবই দুঃখজনক।

এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম ফেরদৌসকে মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবেরুল ইসলাম বলেন, যদি লোকাল ইস্যু হয় তাহলে আগে ডিসির সঙ্গে কথা বলেন। আমি পরে কথা বলব। জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২ মার্চ জারিকৃত গেজেট অনুযায়ী, সাংবিধানিক পদাধিকারী, দেশে ও দেশের বাইরে কর্মরত সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থার কর্মকর্তা/কর্মচারীরা সব জাতীয় দিবস উদযাপন এবং অন্যান্য রাষ্ট্রীয় ও সরকারি অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান উচ্চারণ করবেন।