ব্যথামুক্ত সন্তান প্রসব সেবা শুরু আদ্-দ্বীন হাসপাতালে

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ফেব্রুয়ারি ১২ ২০১৯, ১৫:৫৭

বাংলাদেশে ব্যথামুক্ত সন্তান প্রসব চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম শুরু করেছে আদ্-দ্বীন হাসপাতাল। দেশে লাগামহীনভাবে বেড়ে যাওয়া সিজারের সংখ্যা কমিয়ে আনতে গত রোববার প্রথমবারের মত ব্যথামুক্ত ডেলিভারি কার্যক্রম শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আদ্-দ্বীন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

প্রথমদিনে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাসিন্দা প্রেমা আঞ্জুমের সন্তান হয়েছে এ পদ্ধতিতে। এতে খুশি প্রেমা আঞ্জুমসহ তার পরিবারের সবাই। এ বিষয়ে প্রেমা আঞ্জুম বলেন, সন্তানকে গর্ভে ধারণের সময় অনেক দু:চিন্তায় সময় কাটাচ্ছিলাম। নরমাল ডেলিভারি হবে কি-না। শেষ পর্যন্ত অপারেশন লাগবে কিনা। এমন অনেক চিন্তা আসছিল মাথায়। এমন শত চিন্তায় আশার আলো দেখিয়েছে আদ্-দ্বীন হাসপাতাল। গর্ভবতী হওয়ার প্রাথমিক পর্যায় থেকে চিকিসা সেবা নিয়ে এখন ব্যাথামুক্ত নরমাল ডেলিভারী করতে পেরে আমার পরিবারের সকলেই খুশি।

এ বিষয়ে আদ্-দ্বীন হাসপাতালের পরিচালক ডা. নাহিদ ইয়াসমিন বলেন, আগামী প্রজন্মকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন হিসেবে গড়তে অপারেশনের চেয়ে নরমাল ডেলিভারির ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিচ্ছে আদ্-দ্বীন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যেসব মায়েরা গর্ভবতীর প্রাথমিক পর্যায়ে আদ্-দ্বীন হাসপাতালের সেবা দিয়ে থাকে, তাদের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ নরমাল ডেলিভারী হয়

তিনি আরো বলেন, ব্যথামুক্ত নরমাল ডেলিভারির জন্য বাচ্চা গর্ভধারণের পর থেকে আমাদের সঙ্গে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখা জরুরী। আমাদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা নিয়মিত বিভিন্ন টেস্ট দিবেন এবং গর্ভের বাচ্চার অবস্থান লক্ষ্য করবেন। যদি সব কিছুু ঠিক থাকে তাহলে ব্যথামুক্ত নরমাল ডেলিভারি সম্ভব।

এদিকে আধুনিক পরিবেশে ও স্বল্পমূল্যে একদল দক্ষ চিকিসক ও নার্সের সার্বক্ষনিত তত্বাবধানে আদ্-দ্বীন হাসপাতাল সব সময় গর্ভবতী মায়ের নরমাল ডেলিভারী হওয়ার ক্ষেত্রে জোর দিয়ে থাকে। ফলে চিকিসা সেবা পেয়ে সন্তুষ্ট রোগীরা। টেকসই স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি সরকারের স্বাস্থ সেবায় উন্নয়নে কাজ করছে আদদ্বীন হাসপাতাল। তাই হাসপাতাল কতৃপক্ষ গর্ভবতী মায়ের সিজার অপারেশনের পরিবর্তে নরমাল ডেলিভারিতে আগ্রহ বেশী।

এজন্য অভিভাবক ও মায়েদের কাউন্সিলিং প্রয়োজন। সবাই সচেতন হলে এ পদ্ধতিতে সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে একটি বিপ্লব ঘটে যাবে। কারণ বর্তমানে প্রসবের ৭০ থেকে ৮০ ভাগ অপারেশনের মাধ্যমে হয়ে থাকে। বাংলাদেশে এটি প্রসবকালীন একটি বড় দু:শ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল।