বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রী

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

অক্টোবর ০৫ ২০১৯, ০৩:৫৯

বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে খুলনার রূপসা উপজেলার নবম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রী। এই ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে রূপসা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটকরা হলো- মোড়েলগঞ্জ উপজেলার চাপড়ি গ্রামের নিয়ামুল শেখ (২০), রিয়াজ (১৮), রূপসার শ্রীফলতলার ইউনিয়নের মোছাব্বরপুর গ্রামের শরীফুল ইসলাম (২৬), আসাদুল মোড়ল (১৮), কামরুল হাওলাদার (১৮), মহিশাগুনি গ্রামের নাঈম শেখ (১৮) ও সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার খলিশা বুনিয়া গ্রামের সোহেল রানা (১৮)।

খুলনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. নূর আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাত ১২টা থেকে শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত রূপসার শ্রীফলতলা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।’

এএসপি নুর আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের বিশেষ টিম অভিযান শুরু করে। অভিযান চালিয়ে ছয় জনকে আটক করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রী বর্তমানে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (খুমেক) ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি রয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, বুধবার মেয়েটি নিয়ামুল নামের এক যুবকের সঙ্গে খুলনা মহানগরীর হাদিস পার্কে ঘুরতে যায়। ২/৩ মাস আগে তাদের ফেসবুকে পরিচয় হয়। মেয়েটির সঙ্গে তার ৮ বছরের খালাতো ভাই ছিল। নিয়ামুল মেয়েটিকে ঘুরতে নেওয়ার কথা বলে রূপসা উপজেলার শ্রীফলতলা ইউনিয়নের মোছাব্বরপুর গ্রামের তাজ উকিলের মোড় জনৈক হবির বরিং ঘরে নিয়ে যায়। পরে সেখানে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এ সময় ২ ও ৭নং আসামি ধর্ষণের সহায়তা করে এবং ৩, ৪, ৫ ও ৬নং আসামি ঘটনা দেখে এগিয়ে গিয়ে ১, ২ ও ৭নং আসামিকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

ঘটনার পর মেয়েটি বাসায় এসে তার মা ও খালার কাছে বিষয়টি জানায়। বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগীর মা রূপসা থানায় এসে মৌখিক অভিযোগ করেন। তদন্ত ও অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটক করার পর ভিকটিমের মায়ের দেওয়া অভিযোগ লিখিত নিয়ে থানায় নথিভুক্ত করা হয়।

একুশে জার্নাল/ইএম