বৃহস্পতিবার বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ: করণীয় কী?

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ডিসেম্বর ২৫ ২০১৯, ২২:৪৯

।। মুফতি নুরুল্লাহ নকিব ।।

২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানা গেছে। সূর্যগ্রহণটি বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হয়ে দুপুর ২টা ৫ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে শেষ হবার কথা। আকাশ পরিষ্কার থাকলে বাংলাদেশে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।

চাঁদ যখন পরিভ্রমণরত অবস্থায় কিছু সময়ের জন্য পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে এসে পড়ে, তখন পৃথিবীর নির্দিষ্ট কিছু স্থানের মানুষের কাছে সূর্য আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে কিছু সময়ের জন্য অদৃশ্য হয়ে যায়। পৃথিবীতে প্রতি বছর অন্তত দুই থেকে পাচঁটি সূর্যগ্রহণ দেখা যায়।

২৬ ডিসেম্বর ইউরোপ, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলো থেকে দেখা যাবে এই সূর্যগ্রহণ। তবে এবারের গ্রহণ সবচেয়ে ভালো দেখা যাবে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। ২০১৯ সালের শেষ সূর্যগ্রহণ হবে এটি।

এ বছরের ৬ জানুয়ারি ও ২ জুলাই আরও দুটি সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। সেগুলো উপমহাদেশীয় অঞ্চলের মানুষের দৃষ্টিগোচর হয়নি।

সূর্যগ্রহণের সময় করণীয়:

হযরত আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন,
রাসূল (সা.) এর যামানায় একবার সূর্যগ্রহণ হলো। গ্রহণ শুরু হবার সাথে সাথে রাসূল (সা.) দ্রুত মাসজিদের দিকে ধাবিত হলেন এবং সকলকে মাসজিদে আসতে আহবান জানালেন। তিনি নামাজে দাঁড়ালেন এবং এত দীর্ঘ করলেন যে জামায়াতে আগে কখনো এমন করেননি। অতঃপর রুকূ’তে গেলেন এবং রুকূ’ এত দীর্ঘ করলেন যা আগে কখনো করেননি। অতঃপর দাঁড়ালেন কিন্তু সেজদায় গেলেন না এবং দ্বিতীয় রাকায়াতেও ক্বিরাত দীর্ঘ করলেন। অতঃপর আবার তিনি রুকূ’তে গেলেন এবং তা পুর্বের চেয়ে আরও দীর্ঘ করলেন। রুকূ’ সমাপ্ত হলে দাঁড়ালেন এবং এরপর সেজদায় গেলেন এবং তা এত দীর্ঘ করলেন যে, আগে কখনো এমনটা করেননি। অত:পর সেজদা থেকে দাঁড়িয়ে প্রথম দু’রাকাতের ন্যায় দ্বিতীয়বারও ঠিক একইভাবে নামাজ আদায় করলেন। ততক্ষণে সূর্যগ্রহণ শেষ হয়ে গিয়েছে। নামাজ সমাপ্ত হলে তিনি আল্লাহর হামদ (প্রশংসা) পেশ করে খুৎবা প্রদান করলেন, বললেন: সূর্য এবং চন্দ্র আল্লাহর অগণিত নিদর্শন সমূহের মধ্যে দু’টো নিদর্শন, কারোর মৃত্যু কিংবা জন্মগ্রহণের ফলে চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণ হয় না। অতএব, যখনই তোমরা চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণ প্রত্যক্ষ করবে তখনই আল্লাহকে ডাকবে, তাঁর বড়ত্ব ও মহত্ব প্রকাশ করবে এবং নামাজে রত হবে। [বুখারী-১০৪৪; মুসলিম-৯০১]