বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে রেকর্ড, সাকিব যেখানে তৃতীয় আর মুস্তাফিজ যেখানে পঞ্চম

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জুলাই ০৬ ২০১৯, ০১:০০

শচীনের ৭ ফিফটির রেকর্ডে ভাগ বসালেন সাকিব

এবারের বিশ্বকাপে প্রত্যাশার চেয়েও ভালো খেলেছেন সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে একাই বাংলাদেশ দলকে টেনেছেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।বিশ্বকাপের চলমান ১২তম আসরে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে বিশ্বের নামি-দামি ব্যাটসম্যানদের ছাড়িয়ে কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের রেকর্ডে ভাগ বসান এ অলরাউন্ডার।

শুক্রবার ইংল্যান্ডের লর্ডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচেও তুলে নিয়েছেন ফিফটি। এদিন ৭৭ বলে ছয়টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬৪ রান করেন সাকিব। আর এই ফিফটির মধ্য দিয়ে ক্রিকেট বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকারের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন সাকিব।

২০০৩ সালের বিশ্বকাপে ১১ ম্যাচ খেলে সাতটি ফিফটির ইনিংস খেলেছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করা শচীনের চেয়ে দুই ম্যাচ কম খেলে সাতটি ফিফটির রেকর্ড গড়েছেন বাংলাদেশ সেরা ক্রিকেটার সাকিব।

শুক্রবার ৬৪ রান করার মধ্য দিয়ে রোহিত শর্মাকে ছাড়িয়ে শীর্ষে উঠে যান সাকিব। নয় ম্যাচে (৭৫, ৬৪, ১২১, ১২৪*, ৪১, ৫১, ৬৬ ও ৬৪) সবমিলে ৬০৬ রান সংগ্রহ করে বিশ্বকাপের চলতি আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের তালিকায় শীর্ষে উঠে যান সাকিব। সাত ম্যাচে ৫৪৪ রান করে সাকিবের ঠিক পরেই আছেন ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা।

আট ম্যাচে ৫১৬ রান করে তৃতীয় পজিশনে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। সমান ম্যাচ খেলে ৫০৪ রান নিয়ে চতুর্থ পজিশনে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। আর নয় ম্যাচে ৫০০ রান করে পঞ্চম পজিশনে আছেন ইংলিশ তারকা ব্যাটসম্যান জো রুট।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক আসরে সর্বোচ্চ ৬৭৩ রান করেন শচীন। তিনি ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে এ রান করেছিলেন। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ম্যাথু হেইডেন ৬৫৯ রান করেছিলেন।বিশ্বকাপের এক আসরে রান সংগ্রহে শচীন টেন্ডুলকার ও ম্যাথুহেইডেনের ঠিক পরেই আছেন সাকিব। বাংলাদেশ দলের সাবেক এ অধিনায়ক নয় ম্যাচে সংগ্রহ করেছেন ৬০৬ রান।

তবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে ৪৫ ম্যাচে সর্বোচ্চ ২২৭৮ রান সংগ্রহ করেন শচীন টেন্ডুলকার। তার চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং সংগ্রহ করেন ১৭৪৩ রান। ৩৭ ম্যাচ খেলে ১৫৩২ রান করেন শ্রীলংকার কিংবদন্তি ক্রিকেটার কুমার সাঙ্গাকারা।

ওয়ানডেতে পঞ্চম দ্রুততম ১০০ উইকেট মোস্তাফিজের

পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট শিকারের মধ্য দিয়ে ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম লেখালেন মোস্তাফিজুর রহমান। ওয়ানডে ক্রিকেটে পঞ্চম বোলার হিসেবে দ্রুততম ১০০ উইকেট শিকার করেছেন কাটার মাস্টার। উইকেটের সেঞ্চুরি করতে দ্য ফিজ খ্যাত মোস্তাফিজ খেলেন ৫৪ ম্যাচ।

একদিনের ক্রিকেটে দ্রুততম উইকেট শিকারের পথে মোস্তাফিজ ছাড়িয়ে যান কিংবদন্তি অস্ট্রেলিয়ান পেসার ব্রেট লি (৫৫ ম্যাচে), স্পিনার শেন ওয়ার্ন (৬০ ম্যাচে)। পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াকার ইউনুস (৫৯ ম্যাচ) ও শোয়েব আখতার (৬০ ম্যাচে) উইকেট শিকারের সেঞ্চুরি করেছিলেন।

তবে ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রুততম ১০০ উইকেট শিকার করেছেন আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার রশিদ খান। তিনি ৪৪ ম্যাচে এই রেকর্ড গড়েন। ৫২ ম্যাচে ১০০ উইকেট শিকার করে এই তালিকায় দ্বিতীয় পজিশনে আছেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিসেল স্টার্ক। ৫৩ ম্যাচে উইকেটের সেঞ্চুরির করে তৃতীয় পজিশনে আছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সাকলাইন মোস্তাক।

বাংলাদেশের ষষ্ঠ বোলার হিসেবে একশ বা তার বেশি উইকেট শিকার করেছেন কাটার মাস্টার। দেশের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে ২১৫ ম্যাচে সর্বোচ্চ ২৬৫ উইকেট শিকার করেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ২০৬ ম্যাচে ২৬০ উইকেট শিকার করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

১৫৩ ম্যাচে ২০৭ উইকেট শিকার করেছেন জাতীয় দলে সাবেক হয়ে যাওয়া আব্দুর রাজ্জাক। ৯৯ ম্যাচে রুবেল হোসেনের শিকার ১২৪ উইকেট। আর সাবেক তারকা ক্রিকেটার মোহাম্মদ রফিক শিকার করেছেন ১২৩ ম্যাচে ১১৯ উইকেট।

শুক্রবার পাকিস্তানের বিপক্ষে অসাধারণ বোলিং করে ৫ উইকেট শিকার করে ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী লর্ডস স্টেডিয়ামের অনার্স বোর্ডে স্থান করে নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান।

ইমাম-উল-হক, হারিস সোহেল, ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান ও মোহাম্মদ আমিরকে আউট করার মধ্য দিয়ে এ গৌরব অর্জন করে বিশেষ সম্মানে ভূষিত হন কাটার মাস্টার খ্যাত মোস্তাফিজ।

এদিন ১০ ওভারে ৭৫ রানে ৫ উইকেট শিকার করে ঐতিহ্যবাহী লর্ডসের অনার্স বোর্ডে স্থান করে নিয়েছেন মোস্তাফিজ।