বাহুবলে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের স্বীকার, ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মে ০৯ ২০১৯, ১১:৪৫

 

বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ বাহুবল উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রী প্রতিবেশি লম্পটের হাতে ধর্ষণের স্বীকার হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত ৪মে শনিবার রাতে বাহুবল উপজেলার ২নং পুটিজুরী ইউনিয়নের রূপাইছড়া রাবার বাগান সংলগ্ন ভবানীপুর গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভবানীপুর গ্রামের নুর মিয়ার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী রাত ১ টার দিকে তার বড় বোনকে সাথে নিয়ে প্রকৃতির ডাকে ঘর থেকে বাহির হয়।বাড়ীর পাশেই রয়েছে তাদের ব্যবহৃত বাথরুম।
সেখান থেকে ঘরে ফিরে আসার পথে হঠাৎ করে চলে আসে উত্তর ভবানীপুর গ্রামের জলিল মিয়ার ছেলে লম্পট হাবিবুর রহমান (২৩)।

এ সময় হাবিব ঐ স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক মুখ বন্ধ করে তার বড় বোনের সামনে থেকে নিয়ে যায়। এ সময় লম্পট হাবিবকে তার বড় বোন বাঁধা দিলে কোমর থেকে ডেগার বাহির করে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

এ অবস্থায় ধর্ষীতার বোন ঘরে গিয়ে বিষয়টি তার বাবা নুর মিয়াকে জানায়।

এ সময় নুর মিয়া, তার ছেলে সাদ্দাম,প্রতিবেশি আঃ আলীকে সাথে নিয়ে মেয়েকে খোঁজতে থাকে।

সারা রাত মেয়েকে খোঁজে না পেয়ে ভোর ৫টার দিকে গোলটিলা বাঁশ বাগানে তার মেয়ের গায়ের কাপড় খোঁজে পায়।

এর পরেই নুর মিয়া তার মেয়েকে খোঁজে পায়।
এক পর্যায়ে মেয়ের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত বিষয় শুনে ওয়ার্ড মেম্বার কামাল মিয়া ও গ্রাম পুলিশ মনাফ সহ এলাকার বিশিষ্ট মুরুব্বীদের জানানো হয়।

এ ঘটনার বিস্তারিত শুনে এলাকার বিশিষ্ট মুরুব্বীরা ধর্ষণকারী লম্পট হাবিবুর রহমানকে তাদের সামনে হাজির করেন।

লম্পট হাবিব প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে ঘটনার বিস্তারিত ওয়ার্ড মেম্বার কামাল মিয়া সহ সবার সামনে স্বীকার করে। এ সময় বিষয়টি শেষ করার জন্য ধর্ষিতার বাবা নুর মিয়াকে ৩০হাজার টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

এ অবস্থায় হতদরিদ্র নুর মিয়া নিরবতা পালন করলে তাকে ৫০ হাজার টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়।পরে এ ঘটনার বিষয় নিয়ে গ্রামের নুর ইসলামের ঘরে এক বিচার সালিশ বসে।

উক্ত বিচার সালিশে নেতৃত্ব দেন ওয়ার্ড মেম্বার কামাল মিয়া।
মনাফ মিয়া,আছমত উল্লাহ,বাইট্টা মনাফ,আবুল হোসেন, আব্দুল মালেক,ছালেক মিয়া,সাবেক মেম্বার ইসমাইল।

এ সময় গ্রাম্য মাতব্বরা স্কুল ছাত্রীর ইজ্জতের মূল প্রথমে ৩০ হাজার দ্বিতীয় বার ৫০ হাজার তৃতীয় বার দুই লাখ টাকা নিধারিত করেন।
তাদের এ সিদ্ধান্ত না মেনে তার মেয়েকে নিয়ে সু- বিচারের আশায় বাহুবল মডেল থানায় চলে যায় নুর মিয়া।

এ ঘটনায় লম্পট হাবিবুর রহমান হাবিবকে আসামী করে বাহুবল মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই জহিরুল ইসলামের সাথে কথা হলে, তিনি জানান, আসামীকে গ্রেফতার করতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে।

এ ব্যাপারে বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ মাসুক আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আসামীকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে এ ঘটনায় বাহুবল মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।