বাহুবলে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত, একটি ব্রিজের আশায় গ্রামবাসী

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ডিসেম্বর ০৫ ২০১৮, ১৭:০৩

শাহ মোহাম্মদ দুলাল আহমেদ,বাহুবল (হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের বাহুবলে ভেড়াখাল গ্রামে করাঙ্গী নদীতে কয়েক শত বছর পেরিয়ে গেলেও নির্মাণ হয়নি কোন ব্রিজ। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়েই পারাপার হচ্ছে জনসাধারন। সম্প্রসারিত ব্রিজ না থাকায় চরম ভোগান্তিতে কয়েকটি গ্রামের মানুষ।

দেশের অনেক অঞ্চলে উন্নয়নমূলক কাজ হলেও বাহুবল উপজেলায় আজও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো (হাকাম) দিয়ে করাঙ্গী নদী পারাপার হচ্ছে স্কুল-কলেজ মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষ।

বাহুবলের উপজেলার ৩নং সাতকাপন ইউনিয়ন ও ৪নং বাহুবল সদর ইউনিয়নের অংশ মিলে একটি গ্রাম ভেড়াখাল গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে গেছে বাহুবলের করাঙ্গী নদী। এই করাঙ্গী নদীর এ স্থানে ব্রিজ না থাকায় চরম কষ্টে চলাফেরা করছেন নদীর দুই পাশের কয়েকটি গ্রামের জনসাধারন।

বর্ষাকাল এলেই পানি উঠে আসে নদীর উপর ভাগে।
তখন পানির শক্তিশালী স্রোতে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙ্গে, ভেসে যায় নদীতে।

এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন বাহুবল বাজারে যাতায়াতকারী সাত আটটি গ্রামের মানুষ।
বন্ধ হয়ে যায় মাদরাসা মক্তব,স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা।

স্থানীয় একজন জানান, স্থানীয় জনপ্রশাসনের কাছে আমাদের একটাই দাবি, আমাদের করাঙ্গী নদীতে সম্প্রসারিত নতুন ব্রিজ। এছাড়া আর কোন দাবী নেই।

বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে যদি সরকারীভাবে ব্রিজ নির্মান করা হয় তখন বাহুবল উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের যাতায়াত ব্যবস্থা আরও সহজ হবে বলে মনে করছেন সবাই।

স্থানীয় একজন মাদ্রাসা শিক্ষক জানান, এই জরাজীর্ণ সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করছে, করাঙ্গীর পাশে অবস্থিত জামেয়া শরফীয়া দারুল উলূম ভেড়াখাল মাদ্রাসার সকল ছাত্র ছাত্রী।

গত বছর দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয় থেকে বরাদ্দ আসে এখানে নতুন ব্রিজ করার জন্যে। ব্রিজের ভিত্তি স্থাপনও করা হয় কিন্তু পরবর্তীতে মঞ্জুর হওয়া ব্রিজের বাজেটের তুলনায় এখানে আরো বড় বাজেটের টিকসই ব্রিজ নির্মান প্রয়োজন বলে ব্রিজের কাজ আর শুরু হয়নি। পরে এই ব্রিজের বরাদ্দ মন্ত্রনালয় ফিরিয়ে নিয়ে যায় বলে জানান স্থানীয় জনসাধারন।

ভেড়াখাল করাঙ্গী নদীর ব্রিজ দ্রুত নির্মাণ করার আবেদন জানিয়েছেন গ্রামবাসী। তারা জানান, বাহুবল উপজেলার নির্বাহী অফিসার, বাহুবল উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান চেষ্টা করলে আমাদের এই ব্রিজটি হতে তেমন সময় লাগবে না। গ্রামবাসী জানান, এ ব্যাপারে আমরা অবহেলিত গ্রামবাসী স্থানীয় জনপ্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন,শায়খুল হাদীস,আল্লামা শেখ শরফুদফীন শায়খে ভেড়াখালীর কবরের পাশেই গ্রামবাসীর সেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বাঁশের সাঁকোটির সংস্কা, পূননির্মান সবকিছুই গ্রামবাসীর নিজস্ব উদ্যোগেই হয়ে আসছে।