বালাগঞ্জের স্বাগতের মিষ্টির দোকানে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণার অভিযোগ

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ডিসেম্বর ১০ ২০২০, ২২:০২

বালাগঞ্জ প্রতিনিধি:

বালাগঞ্জের স্বাগত মিষ্টির দোকানে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করার অভিযোগের খবর পাওয়া গেছে।
গত ৯ ডিসেম্বর বালাগঞ্জ উপজেলা সদরের চানপুরের মাওলানা হুসাইন আহমদ মিসবাহ এই প্রতিবেদকে বিষয়টি অবহিত করেন। মাওলানা মিসবাহ বলেন, উনার এক বড়ভাইকে দেওয়ার জন্য ৭ কেজি মিষ্টি কিনতে বালাগঞ্জের স্বাগত মিষ্টি ঘরে যান। মিষ্টির দোকানে গিয়ে বলেন, সিরা/পানি না দিয়ে ৭ কেজি মিষ্টি দিতে। কিন্তু বালাগঞ্জের স্বাগত মিষ্টি ঘরের প্রো. শান্ত লাল বাবু জানান, তিনি সিরা/পানি ব্যতিত মিষ্টি দেবেন না। পরে তিনি (মিসবাহ) বালাগঞ্জের পার্শ্ববর্তী রাজনগরের খেয়াঘাট বাজারস্থ স্বাগত মিষ্টি ঘরের মূল দোকান থেকে সম্পূর্ণ সিরা/পানি বিহিন ৭ কেজি মিষ্টি কিনে আনেন। মাওলানা মিসবাহ বলেন, স্বাগতের মূল দোকানে বালাগঞ্জের বিষয়টি অবহিত করলে, দোকানের ক্যাশিয়ার বলেন, “এভাবে কাস্টমারকে মিষ্টির সাথে পানি দেওয়ারতো কথা না, আমরাতো তাদেরকে সিরা/পানি ব্যতিতই মিষ্টি দেই। ঠিক আছে, কাল আসুক, তাকে জিজ্ঞেস করবো।”

সম্প্রতি বালাগঞ্জ উপজেলা সদরে স্বাগত মিষ্টি ঘরের শাখা খোলা হয়েছে, যার মূল দোকান বালাগঞ্জের পার্শ্ববর্তী খেয়াঘাট বাজার, রাজনগর, মৌলভীবাজার। স্বাগত মিষ্টি ঘরের মিষ্টি তুলনামূলক ভালো সুস্বাদু। তাই অনেক ক্রেতাদের বিভিন্ন সময় এই ঘরের মিষ্টি কিনেন।

দেখা যায়, ১ কেজি মিষ্টির সাথে আনুমানিক ২০০/২৫০ গ্রাম সিরা/পানি থাকে। সে হিসেবে ৭ কেজির সাথে প্রায় ২কেজি পরিমাণ পানি থাকার সম্ভাবনা ছিল।
খেয়াঘাটের মেইন শাখার স্বাগতের মিষ্টির কেজি ১৬০ টাকা, বালাগঞ্জে ঐ দোকান থেকেই আনা মিষ্টির কেজি ১৭০ টাকা। ১০ টাকাতো এমনিতেই বেশি, তারপরও কেন সিরা/পানি সাথে দিয়ে ১ কেজির মধ্যে ২০০/২৫০ গ্রাম মিষ্টি কমানো হয়, এই প্রশ্ন সচেতন জনসাধারণের মনে।

এ ব্যাপারে বালাগঞ্জ স্বাগত মিষ্টির প্রোপাইটার শান্তলাল দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, মেইন দোকানে সিরা ছাড়া মিষ্টি দিতে পারলেও আমরা বিভিন্ন কারণে দিতে পারিনা।

বালাগঞ্জ উপজেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর আবুল খায়ের শামসুদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ইতিপূর্বে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি, আপনি যখন অভিযোগ করেছেন আমরা বিষয়টি দেখবো।