বানবাসী মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা ঈমানী দায়িত্ব: শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসমাঈল নূরপুরী

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

আগস্ট ২২ ২০২০, ১৮:২০

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসমাঈল নূরপুরী বলেছেন, বানবাসী মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। বন্যা কবলিত এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমান খাদ্য সামগ্রীর অভাবে মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে । সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো ত্রাণ তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। বানবাসী মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা ঈমানী ও নৈতিক দায়িত্ব। তিনি আলেম উলামা ও ইসলামী সংগঠনগুলোর পাশা পাশি রাজনৈতিক দল, শিক্ষক, চাকুরীজীবি ও বিত্তশালী সকলকে বন্যা কবলিত মানুষের দূর্যোগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বিধান তথা খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা প্রতিটি মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব। মাছ যেমন পানি ছাড়া বেশিক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে না কোনো মুসলমান খেলাফত রাষ্ট্র ব্যাতিত ঈমানের উপর অটল থাকতে পারে না। ব্যাক্তিগত জীবনে পূর্ণাঙ্গ ইসলামী অনুশাসন মেনে চলার পূর্ব শর্ত ইসলামী খেলাফত ব্যবস্থা। এর জন্য গণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে খেলাফত প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বেগবান করতে হবে।

তিনি আজ (২২আগস্ট, শনিবার) বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার তৃতীয় সাধারণ অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

পুরানা পল্টনস্থ দারুল খিলাফাহ মিলনায়তনে সংগঠনের মহাসচিব মাওলনা মাহফুজুল হকের পরিচালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা আফজালুর রহমান, মাওলানা রেজাউল করীম জালালী, মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, মুফতি সাঈদ নূর, সাবেক মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা কোরবান আলী কাসেমী, মাওলানা আব্দুল আজীজ, মুফতী শরাফত হোসাইন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক ও অফিস সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মূসা, ডক্টর জিএম মেহেরুল্লাহ, কেন্দ্রীয় বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুল হক, সহ বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা নিয়ামাতুল্লাহ, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা মুহসিনুল হাসান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশীদ ভূঁইয়া, নির্বাহী সদস্য মাওলানা জসিম উদ্দীন, মাওলানা আনোয়ার আলী, মাওলানা সামিউর রহমান মূসা, ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা রুহুল আমীন খান।

শূরায় আল্লাহ, রাসূল সা. ও ইসলামের বিরুদ্ধে কুটুক্তিকারীদের শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান পাশ, কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা, সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের ষড়যন্তের বন্ধ, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ, দেশে দেশে মুসলিম নির্যাতন বন্ধ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া, সর্বত্র দুর্নীতি বন্ধ, আরব আমিরাত ও ইসরাইল চুক্তি বাতিল, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বসহ পুনর্বাসন, খেলাফত প্রতিষ্ঠার আহ্বানসহ এগারো দফা প্রস্তাব পাশ করা হয়।

প্রেসবিজ্ঞপ্তি-