বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে শহীদ জিয়ার নাম প্রথম সারিতে -মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ ইব্রাহীম

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মার্চ ২৫ ২০২১, ১৮:৪৭

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে গ্লোবাল মুভমেন্ট ফর ডেমক্রেসি এন্ড গুড গভর্নেন্স ইন বাংলাদেশ এর উদ্যোগে “বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম ও শহীদ জিয়া” শিরোনামে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

সংগঠনের অন্যতম সংগঠক লায়ন আনোয়ার হুসেন উজ্জ্বলের সভাপতিত্বে ও সোয়ালেহীন করিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় আয়োজিত সভায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান লিখিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটি প্রবন্ধ পাঠ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম।

সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে আলোচনা রাখেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খাঁন, যুক্তরাজ্য বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা সাইস্তা চৌধুরী কুদ্দুস, মুক্তিযুদ্ধের বিশিষ্ট গবেষক মেজর (অবঃ) সৈয়দ সিদ্দিক, বিশিষ্ট সমরাস্ত্র বিশেষজ্ঞ কাজী শামীম আহসান, মৌলভীবাজার জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ওয়াদুদ আলম, সাউথ ইস্ট লন্ডন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আকিব আলী শিবলু, যুক্তরাজ্য মহিলা দলের সদস্য সচিব অঞ্জনা আলম, যুক্তরাজ্য যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ লায়েক মোস্তফা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেনারেল ইব্রাহিম সাহেব বলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস লিখতে গেলে প্রথমেই জেড ফোর্স ব্রিগেড এবং এর অধিনায়ক মেজর জিয়ার নাম লিখতে হবে। জিয়াউর রহমানই একমাত্র অধিনায়ক যিনি কমান্ডিং অফিসার হিসাবে প্রথার বিরুদ্ধে গিয়ে সম্মুখ সমরে সৈনিকদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছেন। ২৬ শে মার্চে তাঁর ঘোষণা ছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার তূর্যধ্বনি। অপরদিকে ৭ই মার্চ শেখ সাহেবের বক্তব্যে অনেক আবেগ ছিলো কিন্তু স্বাধীনতার কোনো ঘোষণা ছিলো না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিক ইলিয়াস খান বলেন বাংলদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে শহীদ জিয়ার ভূমিকা ছিলো অপরিসীম। ১৯৭১ সালে পাক হানাদারদের নির্যাতনে দিশাহারা জাতীকে দিশা দিয়েছিলেন তিনি। একটি প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অসীম সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করে মাত্র ৯ মাসে দেশকে স্বাধীন করতে বিশাল ভূমিকা পালন করেন শহীদ জিয়া।

লন্ডনের বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যাক্তিত্ব ও রাজনীতিবিদ জনাব সাইস্তা চৌধুরী কুদ্দুস বলেন, পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা আজ সময়ের অপরিহার্য দাবী।

মুক্তিযুদ্ধের গবেষক মেজর (অবঃ) সৈয়দ সিদ্দিক তাঁর বক্তব্যে বলেন, ২৬ শে মার্চ ১৯৭১ সালে দেশমাতৃকার প্রয়োজনে নিজের কোনো লাভ ক্ষতির হিসাব না করে We Revolt বলে একজন জিয়া রুখে দাঁড়িয়েছিলেন বলেই আজ আমরা বিশ্বের দরবারে গর্ব করে মাথা উঁচু করে নিজেদের পরিচয় দিতে সক্ষম হচ্ছি।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাভার বিএনপির আশরাফ টুলু, সাবেক ছাত্রদল নেতা আব্দুল গফফার গুটলু, যুক্তরাজ্য যুবদলের কবির মিয়া, দারা মিয়া, ফয়জুন নূর, রাহেল আহমেদ, জামাল খালেদ, হুমায়ুন কবির, জলিল উদ্দিন চৌধুরী খোকন, ইমরান আহমেদ, জাহাঙ্গির আলম, আতাউর রহমান, আমিরুল ইসলাম চৌধুরী সামাদ, আমিনুল ইসলাম, মিলাদ আহমেদ রুবেল, বাবুল হুসেন গণি, জাকির হুসেন, জইন উদ্দিন সাগর, মাওলানা নিজাম উদ্দিন মিসবাহ, আব্দুল মুমিন, রুবেল আহমেদ, জিয়াউল হক, শাহীন মিয়া, গাজী সাইফুল ইসলাম মিথুন, রুবেল নুর, মোশাররফ হুসেন, সানজিদা মিথি, ডা. ইশরাত রশিদ, লিসান আহমেদ, আহমেদ হুসেন, সাহেদ আহমেদ, ফ্রান্স থেকে সুমন আনসারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তারিকুল ইসলাম, যুব সংগঠক আজিজুর রহমান, শাহিদুর, তানবিন, মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, এম রহমান, আলী আসগর, সুমু ফারহানা, খায়রুল ইসলাম, রেদোয়ান আহমেদ, সুহেল আহমেদ, রায়হান শরীফ, এমদাদ, নিশা হাসান প্রমুখ। সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন যুবনেতা আলী আহমেদ।