প্রসঙ্গ মুহিব খান: কবি ও কাব্যের এপিঠ ওপিঠ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জুলাই ২০ ২০২০, ২৩:১৫

হুসাইন আহমদ বাহুবলী: বাহ্যিকভাবে কুর‌আনে কারীমের দুটি আয়াত কবিত্বের বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে চাচ্ছেন কেউ,

والشعر اراء يتبعهم الغاوون

দিকভ্রান্তরাই অনুকরণ করেন কবিদের। সূরা শুয়ারা আয়াত:২২৪।

وما علمناه الشعر وما ينبغي له

আমি তাঁকে (বিশ্বনবীকে) কবিতা শিক্ষা দেইনি এবং এটা তার জন্য সমীচীন‌ও নয়। সূরা ইয়াসিন আয়াত ৬৯।

আর যদি হাদীসের দিকে তাকাই তাহলে কি পাই?

وقال الإمام أحمد : حدثنا قتيبة ، حدثنا ليث ، عن ابن الهاد ، عن يحنس – مولى مصعب بن الزبير – عن أبي سعيد قال : بينما نحن نسير مع رسول الله – صلى الله عليه وسلم – بالعرج ، إذ عرض شاعر ينشد ، فقال النبي – صلى الله عليه وسلم – : ” خذوا الشيطان – أو أمسكوا الشيطان – لأن يمتلئ جوف أحدكم قيحا خير له من أن يمتلئ شعرا ” .

বিশ্বনবী জনৈক কবির দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, শয়তানকে ধরো, তাকে গ্রেফতার করো। বমি দ্বারা পেট ভরে দেয়া উত্তম, কবিতা দিয়ে পেট ভরার চেয়ে।

আরেক হাদীসে আছে,

“الغناء ينبت في القلب النفاق، كما ينت الماء البقل

গান অন্তরে নেফাক সৃষ্টি করে যেভাবে পানি শস্য উৎপন্ন করে।

(যদিও হাদিস বিশারদগণ হাদীসটি আফক্বাহুস সাহাবা হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযিআল্লাহু তা’আলা আনহু বক্তব্য হিসেবে হাদীসের দ্বিতীয় সারিতে গণ্য করেছেন)

আয়াত ও হাদীসের বাহ্যিক অনুবাদ পড়ে ভড়কে যেতে পারেন অনেকেই। ভুল বুঝাও স্বাভাবিক। এজন্যই আমরা বলে থাকি কোরআন ও হাদীসের অনুবাদগ্রন্থ পড়ে পড়ে কেউ ইসলাম বুঝে ফেলেছেন দাবি করবেন না।

কোরআন-হাদিস বুঝার জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা আছে। এর আলোকেই কোরআন-হাদীস বুঝতে হয়। শুধু কোরআন-হাদীস নয়, তাবৎ দুনিয়ার সকল সাবজেক্ট বোঝার জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করতে হয়। ব্যত্যয় ঘটলে বুমেরাং হওয়া অবশ্যম্ভাবী।

আলোচ্য আয়াত ও হাদীস সবার জন্য প্রযোজ্য নয়।কবিদের বিশেষ একটি শ্রেণীর জন্য প্রযোজ্য বলে তাফসীরের কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন তাফসীরে ইবনে কাসীরে বলা হয়েছে,

وقوله : ( والشعراء يتبعهم الغاوون ) قال علي بن أبي طلحة ، عن ابن عباس : يعني : الكفار ؛ يتبعهم ضلال الإنس والجن . وكذا قال مجاهد ، رحمه الله ، وعبد الرحمن بن زيد بن أسلم ، وغيرهما .

যে কবিদের অনুসরণ করে থাকে দিকভ্রান্তরা, তারা হচ্ছে কাফের কবি।

দ্বিতীয় আয়াতে নবীজির জন্য কবি হওয়া সমীচীন নয় বলার কারণ, যখন কাফেরদের পক্ষ থেকে গোটা কুরআনকে কবিতা বলে দাবি করা হয়েছিল। সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করতে বলা হয়েছে, তিনি কবি নন। আর কুর‌আন‌ও কবিতা নয় বরং ঐশীবাণী। কবিতা ও কাব্যের দোষ বর্ণনা উদ্দেশ্য নয়।

আয়াতের তাফসীর গ্রন্থ যদি কেউ খুলে বসেন অনায়াসেই দেখতে পাবেন, নবীজি কবিতা আবৃত্তি কত্ত পছন্দ করতেন।

তাফসীরে কুরতুবীতে আছে,

وعن الخليل بن أحمد : كان الشعر أحب إلى رسول الله – صلى الله عليه وسلم – من كثير من الكلام ، ولكن لا يتأتى له

নবীজি অন্যান্য কথাবার্তা তুলনায় কবিতাকে অত্যন্ত বেশি পছন্দ করতেন। তবে তিনি নিজে কবিতা রচনা করতেন না।

তবে অন্যের কবিতা তিনি অর্থ উপস্থাপনের জন্য ছন্দ ছাড়াই উপস্থাপন করতেন, তাফসীরে কুরতুবীতে নবীজির যবান মোবারকে উপস্থাপিত অন্যান্য কবির এমন কিছু কবিতা উল্লেখ করা হয়েছে,

وكان إذا حاول إنشاد بيت قديم متمثلا كسر وزنه ، وإنما كان يحرز المعاني فقط صلى الله عليه وسلم . من ذلك أنه أنشد يوما قول طرفة :

ستبدي لك الأيام ما كنت جاهلا ويأتيك من لم تزوده بالأخبار

وأنشد يوما وقد قيل له من أشعر الناس ؟ فقال : الذي يقول :

ألم ترياني كلما جئت طارقا وجدت بها وإن لم تطيب طيبا

وأنشد يوما : أتجعل نهبي ونهب العبي د بين الأقرع وعيينة

وقد كان – عليه السلام – ربما أنشد البيت المستقيم في النادر .

روي أنه أنشد بيت [ عبد الله بن رواحة ] :

يبيت يجافي جنبه عن فراشه إذا استثقلت بالمشركين المضاجع

وقال الحسن بن أبي الحسن : أنشد النبي – عليه السلام – :

كفى بالإسلام والشيب للمرء ناهيا

فقال أبو بكر – رضي الله عنه – : يا رسول الله إنما قال الشاعر :

هريرة ودع إن تجهزت غاديا كفى الشيب والإسلام للمرء ناهيا

فقال أبو بكر أو عمر : أشهد أنك رسول الله ، يقول الله – عز وجل

এ হচ্ছে ঐ সকল কবিতা যা অন্য কবি রচনা করেছেন, নবীজি অর্থ উপস্থাপনের জন্য নিজে আবৃত্তি করেছেন।

কোন কোন সময় নবীজি নিজেই কবিতার সূরে কথা বলেছেন, যা সবদিক থেকেই কবিতার মানদন্ডে উত্তীর্ণ।

হাদীস ও তাফসীরের কিতাবে এমন কিছু কবিতা পাওয়া যায়,

كقوله يوم حنين وغيره :

هل أنت إلا إصبع دميت وفي سبيل الله ما لقيت

وقوله :

أنا النبي لا كذب أنا ابن عبد المطلب

হযরত হাসান বিন সাবিত রা. যিনি নবীজির শানে ভুবনজয়ী কবিতা রচনা করেছেন,

واحسن منك لم ترى قط عيني

واجمل منك لم تلد النساء

خلقت مبرا من كل عيب

كانك قد خلقت كما تشاء

নবীজি এই সাহাবী কবিকে মসজিদে নববীর মিম্বরে বসাতেন এবং তাঁকে কবিতা আবৃত্তিতে উৎসাহিত করে বলতেন,

اهجهم او هاجهم وجبريل معك

ইসলামের কুৎসা রটনাকারীদেরকে কবিতার মাধ্যমে অপমান করো, তোমার পৃষ্ঠপোষকতায় আছেন স্বয়ং জিবরীল আমীন।

নবীজি কোন কোন কবিতার প্রশংসাও করেছেন এভাবে,

افضل كلمه قالها لبيد

الاكل شيء ماخلا الله باطل وكل شيء لا محاله زائل

কবি ও কবিতার পক্ষে-বিপক্ষে নুসূস থাকার কারনে হাদীস বিশারদগণ এই ফায়সালায়ে উপনীত হয়েছেন যে,

حسنه حسن وقبيحه قبيح

মৌলিকভাবে কবি ও কবিতা দূষণীয় নয় বরং যে কবি ও কবিতা ইসলাম ও মুসলিমদের পক্ষে অবস্থান নেয় তা প্রশংসনীয়। আর যে কবি ও কবিতা ইসলাম ও মুসলিমের বিপক্ষে অবস্থান নেয় তা দূষণীয়।

তাই আমরা কবির কবিত্বে আঘাত না করে তাঁর উপস্থাপিত কবিতা নিয়ে একটা পর্যালোচনা করতে পারি। তার এই কবিতা ইসলামের পক্ষে নাকি বিপক্ষে?

আমরা সকলেই আশা করি একমত হবো যে, লুটতরাজ দূষণীয় কাজ। রাষ্ট্রীয় সম্পদ ভাঙচুর দেশদ্রোহীতা। কিন্তু কবি নজরুল যখন বলে উঠলেন

“কারার ঐ লৌহকপাট,

ভেঙ্গে ফেল, কর রে লোপাট,

                   রক্ত-জমাট

শিকল পূজার পাষাণ-বেদী।

ওরে ও তরুণ ঈশান!

বাজা তোর প্রলয় বিষাণ!

ধ্বংস নিশান

উড়ুক প্রাচীর প্রাচীর ভেদি।

গাজনের বাজনা বাজা!

কে মালিক? কে সে রাজা?

কে দেয় সাজা

মুক্ত স্বাধীন সত্যকে রে?

হা হা হা পায় যে হাসি,

ভগবান পরবে ফাঁসি!

সর্বনাশী

শিখায় এ হীন তথ্য কে রে!

ওরে ও পাগলা ভোলা!

দে রে দে প্রলয় দোলা

গারদগুলা

জোরসে ধরে হেচ্‌কা টানে!

মার হাঁক হায়দারী হাঁক,

কাধে নে দুন্দুভি ঢাক

ডাক ওরে ডাক,

মৃত্যুকে ডাক জীবন পানে!

নাচে ওই কালবোশাখী,

কাটাবী কাল বসে কি?

দে রে দেখি

ভীম কারার ঐ ভিত্তি নাড়ি!

লাথি মার, ভাঙ্গরে তালা!

যত সব বন্দী শালায়-

আগুন-জ্বালা,

-জ্বালা, ফেল উপাড়ি।।

কবির এই কবিতা যখন আলোর মুখ দেখল। জুলুমবাজ শাসকবর্গ ও তাদের অনুগত সেবাদাসদের কাছে কবি হয়ে উঠলেন রাষ্ট্রদ্রোহী সন্ত্রাসী।

পক্ষান্তরে জালেম শাসকের জুলুমের শিকার আপামর জনসাধারণের কাছে এই কবিতা হয়ে উঠলো বিদ্রোহী কবিতা। এটাও একটা দ্রোহ। এই দ্রোহে আছে আত্মরক্ষা, আছে সম্মান, আছে প্রাপ্তি ,আছে তৃপ্তি, আছে বহুপ্রতিক্ষিত আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।

একটা কবিতা তাঁকে এক বলয়ের লোকের কাছে করে তুলেছে রাষ্ট্রদ্রোহী, আরেক বলয়ের লোকের কাছে উপস্থাপন করেছে মুক্তিকামী সিপাহসালার হিসেবে।তাই আজও আমরা কবি নজরুল কি চিনি বিদ্রোহী কবি হিসেবে।

আমরা যারা আরবি চর্চা করি তারা একটি সূত্র জানি

الاستثناء ينصرف الى شرط

না বাচক বাক্যের নিষেধাজ্ঞাটি বাক্যের অতিরিক্ত শর্তটির জন্য প্রযোজ্য। মদ পান করে নামাজ পড়বেন না।

এই বাক্যে নামাজ পড়তে নিষেধ করা হয়নি। এ বাক্যের নিষেধাজ্ঞা বাক্যের অতিরিক্ত শর্তটির দিকে প্রত্যাবর্তন করেছে। অর্থাৎ মদ্যপান নিষেধ করা হয়েছে নামাজের সময়।

কবি নজরুলের কবিতা দেশের স্থিতিশীল অবস্থায় রচিত হয়নি। সে অবস্থায় রচিত হলে নিশ্চয়ই তিনি রাষ্ট্রদ্রোহী হতেন।

তাঁর কবিতা রচিত হয়েছে একটি বিশেষ অবস্থায়। শাসকবর্গ যখন শোষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ। শোষণের যাঁতাকলে জনপ্রাণ যখন ওষ্ঠাগত। তখন তিনি শুরু করলেন বিদ্রোহী কবিতার রচনা। সুতরাং তার এই বিদ্রোহ শাসকের বিরুদ্ধে নয়, তাঁর এই বিদ্রোহ ছিল শোষকের বিরুদ্ধে।

আমাদের জাগ্রত কবি মুহিব খান MUHIB KHAN। যুগপৎ কবিতা লিখে চলেছেন। এমন আক্রমণাত্মক কোন কবিতা তিনি ইতোপূর্বে উপস্থাপন করেননি।

কখন করলেন? বেফাক সংশ্লিষ্ট ফোনকল ফাঁস ও এই জাতীয় বিভিন্ন খবরা-খবর যখন এদেশের কওমি উলামাদেরকে দিগম্বর করে ছাড়ছে।

আমার ক্ষুদ্র বিবেক বলে তার এই কবিতা গোটা কওমি আলেমেরর বিরুদ্ধে নয়। বরং কওমীদের ভিতরকার কিছু অসৎ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। তার ক্ষুভ ঠিকরে পড়ছে।

ক্ষুভের অতিশয্যে বাছাই না করে কথা বলা কোরআন‌ই শিক্ষা দেয়।

কোরআন বলে, فلا نقيم لهم يوم القيامة وزنا

কাফেরদের জন্য কোন ওজন হবে না কেয়ামত দিবসে।

আসলে কি তারা ওজনের মুখোমুখি হবে না? সবাই জানি, হবে। কিন্তু কোরআন বলছে, হবে না।

এটা প্রচন্ড ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। অর্থাৎ এই ওজন কোন কাজের না।

মৌসুমটা কোরবানির। আমরা সকলেই কুরবানী নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি। কেউ লেখছি, কেউ বলছি, কেউ প্রস্তুতি নিচ্ছি। এসময় কবিতা নিয়ে লিখতে মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।

কিন্তু অনলাইনে কবিতা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। মোটামুটি সকলেই বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। বলতে গেলে পক্ষে নেই কেউ। এমনকি কবি নিজেও আত্মপক্ষ সমর্থন করে কিছু বলছেন না। কোন ওয়াজাহাত করছেন না। কোন ব্যাখ্যা দিচ্ছেন না।

অথচ কবির কবিত্বের শুরু থেকেই অদ্যাবধি তিনি রেখে গেছেন তাঁর অসীম কীর্তিগুলো। কি রাষ্ট্র, কি ধর্ম, কি মানবতাবোধ, সকল ক্ষেত্রেই তার কবিতা জাগ্রত করেছে আমাদের বিবেক বোধকে। তাইতো সকলে মিলে আমরা তাকে জাগ্রত কবি বলে সম্বোধন করেছি বহুদিন।

আজ তিনি এমন একটি কথা বলে ফেলেছেন যার দরুন তার অতীদের সকল অবদান আমরা অস্বীকার করে বসছি।

একথা অনস্বীকার্য যে আমরা একটা আবেগপ্রবণ জাতি।

“আবেগ হলো মোমবাতি যা কিছুক্ষণ পরে নিভে যায়।

আর বিবেক হলো সুর্য যা কখনো নিভে না”এই কথাটা আমরা বেমালুম ভুলে যাই।

কারো একটা কথা বা কাজ যতই কল্যাণকর হোক, আমার বুঝে না আসলে তার শুধু প্রতিবাদ করি না বরং জাতির জন্য রেখে যাওয়া তাঁর সকল অবদানকে অবলীলায় অস্বীকার করি ,যেমনটা অস্বীকার করার কথা বিশ্বনবী বলেছেন নারীদের বেলায়,

নবীজি বলেন,

لو احسنت الى احداهن الدهر ثم رات منك شيئا قالت لم اجد منك خيرا قط

স্ত্রীর প্রতি তুমি জীবনভর অনুগ্রহের বর্ষণ ঢেলে দিয়েছো, এরপরও কোন একদিন তোমার কাছ থেকে তার অপছন্দনীয় একটা কাজ প্রকাশ হয়ে গেলে, সে অবলীলায় বলে উঠবে, তোমার কাছ থেকে জীবনে কোন কল্যাণ পেলাম না। এই নারী স্বভাবটা আমাদের মধ্যে, বিশেষ করে ফেসবুকিয়ান তরুন আলেমদের মধ্যে জেঁকে বসেছে।

কখনো আমরা ধরে ফেলি মাওলানা ফজলুর রহমান সাহেবকে আবার কখনো মাওলানা মাহমুদ মাদানীকে আবার কখনো আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসউদকে।

একটা বারের জন্য আমরা চিন্তা করি না, জাতির জন্য তাদের দু-একটা অবদান তো আছে! আমি এসব প্রত্যাখ্যান করার কে? জাতীযর জন্য আমি কি কি অবদান রাখতে পেরেছি? আজ কবিরদ বিরুদ্ধে যারা কবিতা রচনা করছেন, তাদের ছন্দগুলো পড়ি আর হাসি! না কবিতার ছন্দে উত্তীর্ণ, না মর্মে। তারা এসেছেন কবির মোকাবেলা করতে!

আরে, এক কবির মুকাবালা তো করবেন আরেক কবি। আমাদের অঙ্গনে কবি মুসা আল হাফিজ আছেন এখনো জীবিত। তিনি এখনো মুখ খুলছেন না। কবিদের হৃদয় সাগরে সৃষ্টি হওয়া তরঙ্গমালা আরেক কবি অনুভব করতে পারেন। অন্যরা যে পারেন না তার বহু নজির রয়েছে।

আল্লামা ইকবালের সেক‌ওয়া উত্থাপনের পর হইচই পড়ে গিয়েছিল ভারতবর্ষের ওলামায়ে কেরামের মাঝে। কুফরীর ফতোয়া পর্যন্ত এসেছিল। অতঃপর জ‌ওয়াবে সেক্ওয়া যখন উপস্থিত হল তখন সকল নীরব হয়েছিলেন।

কবি নজরুল আমপারার এমন অনুবাদ করলেন যা অস্থির করে তুলল তৎকালীন আলেম সমাজকে। ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি মুক্তি পেয়েছিলেন রোষানল থেকে।

আমিও চাই কবির পক্ষ থেকে উপস্থাপিত কবে তাঁর জবাবী কবিতা। কার পচন তিনি মিন করেছেন তা উল্লেখ করবেন অথবা আমি তাকে লাইভে আসার আহ্বান জানাবো। তিনি লাইভে এসে জাতির সামনে খোলাসা করবেন। আশা করি এই বিষয় নিয়ে আর জলঘোলা হবে না।