‘প্রথম ভোট দিতে খুবই এক্সাইটিং লাগছে’

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ডিসেম্বর ৩০ ২০১৮, ০৬:৩১

‘মা-বাবার কাছে আগে ভোটের পরিবেশের যেমন গল্প শুনেছি বাস্তবে এখন তেমন পরিবেশ দেখছি না’ জীবনের প্রথম ভোট দিতে এসে এমন মন্তব্য করেছেন দুই বান্ধবী অদিতি সরকার ও সাদিয়া সারোয়ার।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত পোস্ট অফিস স্কুল প্রাঙ্গণে অবস্থিত ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন এই দুই নতুন ভোটার। কেন্দ্রটি ঢাকা-৮ আসনের মধ্যে অবস্থিত।

সাদিয়া সারোয়ার বলেন, এবারই জীবনের প্রথম ভোট দিচ্ছি। এর আগে কখনো কোনো নির্বাচনের ভোট দেইনি। জীবনের প্রথম ভোট দিতে খুবই এক্সাইটিং লাগছে। এটা অসাধারণ এক অনুভূতি।

ইডেন মহিলা কলেজের রসায়ন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থী বলেন, এর আগে ভোটের বিষয়ে বাবা-মায়ের কাছে গল্প শুনেছি। গল্পে ভোটের পরিবেশ যেমন শুনেছি, এখন ভোট দিতে এসে বাস্তবে পরিবেশ তেমন মনে হচ্ছে না। আগে খুবই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হতো, কিন্তু এখন মানুষের মনে এক ধরনের ভয় আছে।

তিনি বলেন, এখানে ভোট দিতে এসে পরিবেশ খুবই ভালো দেখছি। আশাকরি ভোটের পরও পরিবেশ খুবই ভালো থাকবে। আমি দেশের উন্নয়ন চাই। আশাকরি যেই সরকার গঠন করবে তারাই ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়নে কাজ করবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অদিতি সরকার বলেন, এবারই জীবনের প্রথম ভোট দিতে এসেছি, এখানে ভোটের পরিবেশ খুবই শান্তিপূর্ণ। কোনো ধরনের ঝামেলা নেই। জীবনের প্রথম ভোট দিতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আশা করছি আমি যাকে ভোট দিয়েছি তিনি জয়লাভ করবেন।

তিনি বলেন, আমরা চাই দেশের উন্নয়ন। যেই দলই সরকারে আসুক দেশের উন্নয়নে কাজ করবে বলে আশা করি। ভোটের পরেও পরিবেশ শান্তিপূর্ণ থাকবে তেমনটাই প্রত্যাশা করছি। স্কুল, কলেজ, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান সবকিছু যাতে স্বাভাবিক থাকে আমরা সেটাই চাই।

পোস্ট অফিস স্কুল প্রাঙ্গণে অবস্থিত ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের এখানে খুবই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হচ্ছে। এ কেন্দ্রে নারী-পুরুষ মিলিয়ে এক হাজার ৮২৪ জন ভোটার রয়েছেন। চারটি বুথের মাধ্যমে ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন। প্রথম দুই ঘণ্টায় চারশর মতো ভোট পড়েছে। ভোটারদের মধ্যে নারীদের থেকে পুরুষরা তুলনামূলক একটু বেশি।