প্রথম আলোয় প্রকাশিত তথ্য বিভ্রাটে ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর ক্ষোভ প্রকাশ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

মার্চ ০৩ ২০১৯, ১৬:৪৩

আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ডাকসু নির্বাচনে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত আতায়ে রাব্বী-মাহমুদুল হাসান-শরিয়তুল্লাহ পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা পরবর্তী ৩ মার্চ ’১৯ জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার ৩য় পৃষ্ঠায় “স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উপর চাপ” শিরনামে প্রকাশিত খবরে উল্লেখ করা হয়, “বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি নিষিদ্ধ থাকা এই দুই সংগঠন”। নিষিদ্ধ সংগঠনের বিষয় বলতে গিয়ে ১৯৯০ সালে নিষিদ্ধ হওয়া অন্য সংগঠনের সাথে ইশা ছাত্র আন্দোলন এর নাম উল্লেখ করা হয়।

উক্ত সংবাদের প্রতিবাদে ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শেখ ফজলুল করীম মারুফ ও সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ মুস্তাকিম বিল্লাহ এক যৌথ বিবৃতিতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রথম আলোর মতো বহুল পঠিত জাতীয় দৈনিকে যে তথ্য বিভ্রাট করা হয়েছে, এতে আমরা আশাহত।

ইশা ছাত্র আন্দোলন দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বুকে ধারণ করে ১৯৯১ সালের ২৩ আগস্ট সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইশা ছাত্র আন্দোলন দেশের আইন ও ক্যাম্পাস প্রশাসনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বাংলাদেশের প্রায় সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। যে ছাত্র সংগঠনটি ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে সে সংগঠনটি ১৯৯০ সালে পরিবেশ পরিষদ কর্তৃক কিভাবে নিষিদ্ধ হয়, সে বিষয়ে প্রশ্ন রাখেন।

নেতৃদ্বয় পরিবেশ পরিষদের আইনগত ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ডাকসুর অনুপস্থিতিতে পরিবেশ পরিষদ একটি সাময়িক ব্যবস্থা ছিল মাত্র। ক্যাম্পাসে কারো রাজনীতি করার সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করার মত সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার পরিবেশ পরিষদ রাখে না। “ধর্মীয় সংগঠন” এর স্বীকৃত কোন সংজ্ঞা নেই উল্লেখ করে নেতৃদ্বয় বলেন, ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর মতো ইসলামী সংগঠনকে “ধর্মীয় সংগঠন” বলে নিষিদ্ধের তকমা লাগানো স্পষ্টত সংবিধান বিরোধী।

ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন একটি “ইসলামী সংগঠন”। ইসলামী রাজনীতি সর্বদাই সার্বজনীন, অংশগ্রহণমূলক, প্রতিনিধিত্বশীল এবং সকল অর্থেই অসাম্প্রদায়িক। ইসলামী রাজনীতিকে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বলা নেহায়তই মূর্খতা।

ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর ক্যাম্পাসে সুস্থ পদচারনা নিয়ে যে সকল ছাত্র নেতারা প্রতিহত করার কথা বলেন তাদের উদ্দেশ্যে নেতৃদ্বয় বলেন, ইশা ছাত্র আন্দোলনকে দেখুন, জানুন ও মূল্যায়ন করুন। ইশা ছাত্র আন্দোলনকে প্রতিহত করার কথা বলে রাজনীতির পরিবেশ উত্তপ্ত না করার আহ্বান জানান।

ক্যাম্পাসে কোন সংগঠন কাজ করবে, কোন সংগঠন নিষিদ্ধ হবে তা নির্ধারণ করার দায়িত্ব কোন ছাত্র সংগঠন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নয়, এটি সম্পূর্ণ আইনগত ও সাংবিধানিক বিষয়।

নেতৃদ্বয় ইশা ছাত্র আন্দোলনকে সন্ত্রাসি কায়দায় নয় বরং আদর্শিক মোকাবেলা করার আহ্বানও জানান।