পোস্টগ্রাজুয়েট এচিভমেন্টঃ বেদনাময় আনন্দ

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মার্চ ২১ ২০১৯, ০৫:৩১

– ইমদাদুল হক নোমানী

১৯৯৬ সালে কওমি মাদ্রাসায় শরহেজামী জামাআতে পড়াকালীন দাখিল পরীক্ষা দিয়েছিলাম। শুরুতে আব্বা (শায়খুল কুররা মাওলানা আলী আকবর সিদ্দীক রাহ.) অভিমানী থাকলেও ভালো ফলাফল অর্জন করায়, খুশি হয়ে নিজেই আলিমে ভর্তি করিয়েছিলেন। হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে দাওরা উত্তীর্ণ হয়েই ফাযিল এরপর কামিল পাশ করি। এরিসাথে দারুল ইহসান বিশ্ব বিদ্যালয় ঢাকা মেইন ক্যাম্পাস থেকে বিএ (অনার্স) কমপ্লিট করে ২০১৬ সালে সিলেট লিডিং ইউনিভার্সিটি থেকে ইসলামিক স্টাডিজে (ইসলামি অর্থনীতি ও ব্যাংকিং) এম এ (মাস্টার্স) সফলতার সাথে (৪ পয়েন্টে ৩.৮৫ পেয়ে) উত্তীর্ণ হই।

সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ইউনিভার্সিটির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি মাধ্যম আজ ২০ মার্চ শিক্ষা সনদ ও পোস্টগ্রাজুয়েট স্বীকৃতি পেলাম। বাহ্যত, শিক্ষা জীবনের অনেক বড় এচিভমেন্ট। এ সফলতার পেছনে আব্বা রাহ. এবং মেজো বোনের অবদানই বেশি। আজ বাবা নেই। সফলতার আনন্দ পুরোপুরি উপভোগ করতে পারছি না। প্রোগ্রামের ভ্যানুতে বসেই লিখছি। ভাবছি আজকের এ গ্রাউন, ক্যাপ, সার্টিফিকেটসহ এতগুলো গিফট কাকে উৎসর্গ করব!


.
দুনিয়ার এ সফলতা অপূর্ণাঙ্গ। একজন মুমিনের জন্য ন্যশনাল কারিকুলামে এ জাগতিক শিক্ষাই মূল নয়। এটা অপশনাল। বাবার এ শিক্ষাকে স্মরণ করে, আখেরাতের চূড়ান্ত সফলতার প্রত্যাশি অধম। আব্বা! আপনি শান্তিতে থাকুন। আপনার অযোগ্য, ব্যর্থ সন্তান জানিনা কতটুকু আপনার বাতলে যাওয়া পথে আছি। আপনার রূহানী ফয়েজ নিয়ে, বাকি দিন যেনো এগিয়ে যেতে পারি, মাওলার দরবারে সে আকুতি এবং আপনাদের দুয়া প্রত্যাশী। আব্বা! চেষ্টা করবো, আপনাকে বলা এমফিল ও পিএইচডি কোর্স শেষ করার।

সহপাঠী সবাই গার্ডিয়ানসহ কনভেনশনে অংশগ্রহণ করেছে।

বাবার অনুপস্থিতিতে সাথে ছিলো স্নেহাশিস ছোট ভাই হাফিজ মাওলানা ইনাম বিন সাদিক।
আল্লাহ আমাদেরকে দ্বীনি স্বার্থে প্রয়োজনীয় জাগতিক জ্ঞান অর্জনের তাওফীক দান করুন।