পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুদণ্ডের রায় অসাংবিধানিক; লাহোর হাইকোর্ট

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জানুয়ারি ১৩ ২০২০, ২০:০৬

রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বিশেষ আদালতে পাকিস্তানের সাবেক সেনাশাসক পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে দিয়েছে লাহোর হাইকোর্ট। সোমবার হাইকোর্ট এদণ্ড খারিজ করে। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর পারভেজ মোশাররফের অনুপস্থিতিতেই তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল বিশেষ আদালত।

লাহোরের হাইকোর্ট রায়ে বলেছে, যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে মোশাররফকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তা ‘অসাংবিধানিক’ এবং ‘অবৈধ’।

এর আগে রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে দেয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়কে চ্যালেঞ্জ করেছেন পারভেজ মোশাররফ। বিশেষ আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে তিনি দেশটির লাহোর হাইকোর্টে একটি আরজি দাখিল করেছিলেন।

আরজিতে বলা হয়েছিল, পারভেজ মোশাররফের বিরুদ্ধে মামলায় ইসলামাবাদের বিশেষ আদালতের বিচারে অনেক সংগতি ও অনিয়ম ছিল। তাড়াহুড়ো করে বিচার-প্রক্রিয়াটি শেষ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর সংবিধান স্থগিত করে জরুরি অবস্থা জারির কারণে মোশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়। ওই সময় এক সামরিক অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসেন তৎকালীন সেনাপ্রধান মোশাররফ।

এরপর ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ মোশাররফকে অভিযুক্ত করা হয়। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে বিশেষ আদালতের কাছে বিচারের জন্য সব তথ্যপ্রমাণ পেশ করা হয়। তবে আপিল ফোরামে মামলাটি তোলার পর বিচারকাজ দীর্ঘায়িত হয়ে পড়ে এবং মোশাররফ ২০১৬ সালের মার্চে পাকিস্তান ছেড়ে চলে যান। চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তাকে দেশ ছাড়ার অনুমতি দেয়া হয়।

তারপর থেকে দুবাইয়ে অবস্থান করার পর একাধিকবার আদেশের পরও তিনি আদালতে হাজিরা দিতে অস্বীকৃতি জানান। ২০১৪ সালে জেনারেল মোশাররফকে রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে অভিযুক্ত করার ঘটনাটি দেশটির জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল।

পাকিস্তানের সংবিধান অনুসারে কারও বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের গুরুতর অভিযোগ উঠলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার বিধান রয়েছে।