পর্দানশীন নারীদের ছবি ছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র করতে না দেওয়া অসাংবিধানিক

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

মার্চ ২১ ২০২২, ১৯:৫৩

যেসব নারী পর্দা করেন, তাদের শনাক্তে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য নথিতে ছবির বদলে আঙুলের ছাপ ব্যবহারের দাবি তুলেছে রাজারবাগ দরবার শরিফের মহিলা আনজুমান। সরকারে অফিসে পর্দানশীন নারীদের সঙ্গে যোগাযোগ বা শনাক্তকরণে নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর ব্যবস্থা রাখারও দাবি জানিয়েছে তারা।

আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান রাজারবাগ শরিফের মহিলা আনজুমানের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে অসংখ্য নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোনো গায়েরে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় শনাক্ত করার জন্য চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয় এবং গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখিয়ে নিশ্চিত করতে হয়, এটি তার ছবি।

‘পর্দানশীন হওয়ায় এসব নারী চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না বা গায়েরে মাহরাম পুরুষকে চেহারা দেখাচ্ছেন না। এতে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোনো সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না এবং কোনো নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না।’

বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারী বা প্রবাসীদের স্ত্রীদের জন্য বিষয়টি আরও জটিল হয়ে যায় উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘সহযোগিতার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তানসন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।’

শারমিন ইয়াসমিন বলেন, শনাক্তকরণে ছবির ব্যর্থতায় আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তিনির্ভর এ পদ্ধতিতে শনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল।

‘বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে কখনও দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সঙ্গেও এই পদ্ধতিতে কোনো তারতম্য ঘটে না। তাই পর্দানশীন নারীদের শনাক্তকরণে ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি।’