‘‘পবিত্র কুরআনে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ আছে’’ মর্মে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য কুরআন বিকৃতির শামিল

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জুলাই ০৫ ২০২১, ১১:৩৬

জাতীয় সংসদের বাজেট এর সমাপনী অধিবেশনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ‘‘পবিত্র কুরআনে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ আছে‘‘ মর্মে যে বক্তব্য প্রদান করেছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি।

সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত আজ এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, কুরআনের আয়াত উদ্ধৃত করে ধর্মনিরপেক্ষতা সম্পর্কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য কুরআনের সুস্পস্ট বিকৃতি ছাড়া অন্য কিছু নয়। বিশ্বের সমস্ত স্বীকৃত ইসলামী স্কলারদের সম্মিলিত মত অনুযায়ী ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ একটি সম্পূর্ণ কুফরী মতবাদ।

‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দটিও এমন যে কম পড়ুয়া লোকজনও এর অর্থ বুঝে নিতে পারবে।এটি একটি টার্ম। ইংরেজি Secularism শব্দের বাংলারূপ হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতা।

বাংলা একাডেমীর ইংলিশ-বাংলা ডিকশনারী ২০১২ সালের জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী সাহেবের সম্পাদনায় ছাপানো সংস্করণে Secular-(অর্থ) পার্থিব, ইহজাগতিকতা, জড়, জাগতিক‘ বলা হয়েছে।

তাতে আরো বলা হয়েছে, Secular State ‘গীর্জার সঙ্গে বৈপরিত্যক্রমে রাষ্ট্র’। এ অর্থ অনুযায়ী মুসলিম দেশে এর ব্যাখ্যা হবে মসজিদের সঙ্গে বৈপরিত্যক্রমে রাষ্ট্র। Secularism নৈতিকতা ও শিক্ষা ধর্মকেন্দ্রিক হওয়া উচিৎ নয়-এই মতবাদ। জাগতিকতা, ইহবাদ।

তারা ‘ধর্মনিরপেক্ষতা ধর্মহীনতা নয়’-এমন কথা লেখেননি। ইনসাইক্লোপিডিয়া অব ব্রিটেনিকা ও উইকিপিডিয়াতেও একই ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। উপরন্তু উইকিপিডিয়াতে সেকুলারিজমের ব্যাখ্যা করা হয়েছে Anti Islam দিয়ে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ইসলামে ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে কিছু নেই। ইসলামের মূল ভিত্তি হল আল্লাহর কালাম কুরআন মজীদ। কুরআনে কারীমে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,

আর তাদের মাঝে আপনি ফয়সালা করুন ঐ আইন দ্বারা, যা আপনার প্রতি আল্লাহ তাআলা নাযিল করেছেন।-সূরা মায়েদা : ৪৯

অন্যত্র আছে- যারা আল্লাহর বিধান অনুযায়ী ফয়সালা করে না তারা জালিম … তারা কাফির … তারা ফাসিক।-সূরা মায়েদা : ৪৪, ৪৫ ও ৪৭।

এ তিনটি আয়াতে সুস্পষ্টভাবে আল্লাহর বিধান ভিন্ন ফয়সালাকারীকে জালিম, কাফির ও মুনাফিক বলা হয়েছে।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য ইসলামের সুস্পষ্ট বিকৃতি, হঠকারিতামূলক ও ধৃষ্টতাপূর্ণ। তাঁকে অবিলম্বে তওবা করে এই বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে।

বিবৃতি প্রদানকারী নেতৃবৃন্দ হলেন, পার্টির আমীর আল্লামা সরওয়ার কামাল আজিজী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল মাজেদ আতহারী, নায়েবে আমীর আলহাজ্ব আবদুর রহমান চৌধুরী, মুফতী মুহাম্মাদ আলী কাসেমী, হাফেজ মাওলানা সালামাতুল্লাহ, মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান মাহমুদী, মাওলানা মনজুরুল কাদের চৌধুরী, ডাঃ মাওলানা ইলিয়াস খান, সরকারী মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক, সংগঠন সচিব ও ঢাকা মহানগর আমির অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আবু তাহের খান, সহকারী অর্থ সচিব হাজী আনোয়ারুল কবীর, সহকারী সংগঠন সচিব মাওলানা ইনআমুল হক কুতুবী, মাওলানা রাশেদুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ সচিব মাওলানা এরশাদ বিন জালাল, সহকারী আন্তর্জাতিক বিষয়ক সচিব মাওলানা মাহমুদুল হক সাদেকী, যুব বিষয়ক সচিব অধ্যাপক নজরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।