নিরীক্ষা ছাড়াই ছাড়পত্র পায় পিকে হালদার চক্রের ৪০ প্রতিষ্ঠান

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

মে ২৮ ২০২২, ১৩:০২

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাকের ডগায় লোপাট হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। অভিযোগ রয়েছে, সংস্থাটির কিছু কর্মকর্তা টাকার বিনিময়ে বছর বছর নিরীক্ষা ছাড়পত্র দিয়েছে পিকে হালদার চক্রের কাগুজে ৪০ প্রতিষ্ঠানকে। গ্রেপ্তার আসামিদের জবানবন্দিতে কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতা উঠে আসলেও, দুদকের মামলায় আসামি করা হয়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তাকে।

এখন পর্যন্ত পিকে হালদার চক্রের বিরুদ্ধে ৬ হাজার ৩শ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। তবে ব্যাংক পাড়ায় গুঞ্জন রয়েছে লোপাট হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬৪ জনের বিরুদ্ধে ৪১ টি মামলা করেছে দুদক।

এফএএস ফাইন্যান্স, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, পিপলস লিজিং ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্সে ছিল পিকে হালদার চক্রের কর্মীরা। যারা সংঘবদ্ধভাবে পিকে হালদারের কাগুজে প্রতিষ্ঠানগুলোতে চোখ বন্ধ করে ঋণ দিয়েছেন হাজার হাজার কোটি টাকা। আর পিকে হালদারের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে লোপাট করা হয় এসব টাকা।

পিকে হালদারের কর্মকাণ্ডের সুরক্ষা দিতেন বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন ডেপুটি গভর্নর এস কে শূর ও নির্বাহী পরিচালক শাহ আলম। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং-এর সাবেক এমডি রাশেদুল হক ও এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক এমডি রাসেল শাহরিয়ারের ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে উঠে আসে এসব তথ্য। এরপরও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাউকে দুদকের কোনো মামলায় আসামি করা হয়নি।

দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা টিআইবি বলছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরীক্ষা বিভাগের দুর্নীতি নতুন কোনো ঘটনা নয়। গবেষণায় এবিষয়ে বিস্তর তথ্য প্রমাণ পেয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি। তাই যারা নিরীক্ষা ছাড়পত্র দিয়েছে সবাইকে তদন্তের আওতায় আনার পরামর্শ সংস্থাটির।

টিআইবি বলছে, পিকে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক নয়, বেরিয়ে আসতে পারে দুর্নীতির আরো বড় বড়া নাম।