নিম্মমানের ঘরোয়া লীগ খেলেই জাতীয় দলের এই হাল ; সাকিব

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

সেপ্টেম্বর ০৯ ২০১৯, ১৩:১২

অনভিজ্ঞ আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট হারের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। ব্যাট-বলে ভয়াবহ বিপর্যয় হয়েছে সাকিবদের। এই ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে আসছে অনেক কিছু। যেগুলোর মাঝে অন্যতম ঘরোয়া ক্রিকেট। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অনেকে জাতীয় লিগ বা বিসিএলের মতো ঘরোয়া প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট নানা অজুহাতে খেলেন না। তা নিয়ে হয় বিস্তর সমালোচনা। কিন্তু টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মনে করছেন, এই ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার কারণেই হয়তো জাতীয় দলের এই হাল!

বিশ্বের সবগুলো ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগে খেলে বেড়ান বাংলাদেশের ক্রিকেটের ‘পোস্টার বয়’ সাকিব। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার সময় হয় না; প্রয়োজনও হয় না। ২০১৫ সালে সর্বশেষ জাতীয় লিগের একটি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খেলা সাকিব ভালো করেই জানেন দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের মান কত নিম্ম। মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহরাও জাতীয় লিগ বা বিসিএলে একেবারেই নিয়মিত নন। ঘরোয়া এসব প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে দলের তরুণ ক্রিকেটারদের অবশ্য নিয়মিতই খেলতে দেখা যায়। ঘরোয়া ক্রিকেট খেললে টেস্ট ক্রিকেটে ভালো করা যায়- এমন মতে পুরোপুরি বিপরীত মন্তব্য করেছেন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

খোলাখুলি তিনি বলেছেন, ‘আমি তো ৪-৫ বছর খেলিনি, কোনো সমস্যা হয়নি। এখন বুঝতে হবে, ওদের কী সমস্যা হচ্ছে। এখন এনসিএল খেলেই সমস্যা হচ্ছে নাকি না খেলে সমস্যা হচ্ছে। দুইটারই সমস্যা থাকতে পারে। খেলাও একটা সমস্যা হতে পারে। ওখানে গেলে এত সহজ বোলিং আক্রমণ পেয়ে যায়, দুইশ-দুইশ করে মারে। চার-পাঁচটা দুইশ মারে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চার পাঁচ রান করাও সমস্যা হয়ে যায়। কাজেই দুইটারই সমস্যা থাকতে পারে। ওটা আপনার বুঝতে হবে কার জন্য কী সমস্যাটা। সবার জন্য এক মেডিসিন কাজ হবে, এটা বলা ভুল।’

বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে এসব অভিযোগ নতুন নয়। প্রতিটি ম্যাচই যে পাতানো হয় তাও গোপন বিষয় নয়। সেই গতানুগতিক স্পিন উইকেট তৈরি করা হয়। তাতে তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির বোলারদের সাধারণ বল ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা নিতে পারে না। সংবাদ মাধ্যমে এসব কথা বারবার লেখা হলেও বিসিবিতে শোনার কেউ নেই। সাকিব তাই বলেছেন, ‘অনেক পরিকল্পনা আছে, অনেক কিছু আছে। অনেক কিছু ঠিক করার পরে এরকম কিছু করতে হবে। এই প্রক্রিয়াটা অনেক লম্বা। যখন আমরা খারাপ করি, তখন এগুলা নিয়ে কথা হয়। যখন আমরা ভালো করি, এগুলা সব বন্ধ হয়ে যায়।’