নক্ষত্রখোর রিভিউ
একুশে জার্নাল ডটকম
ফেব্রুয়ারি ০৪ ২০২০, ১১:১১
প্রথম গল্প: ডান কানের ঠিক উপরে একটা কয়েন সমপরিমাণ চুল উঠে গেছে নাদিম সাহেবের। তিনি নিজেই একটা একটা চুল ছিঁড়ে করেছেন এই হাল। জাদঁদরেল আইনজীবী তিনি। গোপনীয়তা পছন্দ করেন। পছন্দ করেন নিজেকে আড়াল রাখতে। এই আড়াল রাখার কসরতেই ক্রমশঃ তিনি আটকে যাচ্ছেন নানা মনোজাগতিক সংকটে… বিস্তারিত “ক্রমসিজোফ্রেনিক”-এ।
দ্বিতীয় গল্প: জাদু দেখিয়ে জীবন চলে কালা মিয়ার। হঠাৎ করেই ভিন্ন পথে চলতে থাকেন কালা মিয়া। পথ বড়ো বিপদের… ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ মাঠে জাদু খেলা চলছে। কালা মিয়ার মেয়ের পায়ে ঢুকে গেছে বর্ষার ফলা। অথচ দর্শকেরা চলে যাচ্ছে… বাকিটা “ত্রি-ফলা বর্ষা”-য়।
তৃতীয় গল্প: পলাশ ও জন রুসান সমকামী। একজন বাঙালি আরেকজন গ্রীস। বিয়ে করে দু’জন দুজনকে। কিন্তু সব গড়বর করে দেয় এলসা আর রুদাবা। এই চারজনের কথকতা নিয়েই “হারকুলেনিয়ামের প্রেতাত্মা”
চতুর্থ গল্প: সাবাহ ও তার বাবার গায়ের কাপড় খুলে যাচ্ছে। উড়ে উড়ে পড়ছে নদীতে জায়েদের নৌকায়। সারা আকাশের সকল গ্রহ নক্ষত্র বাঁধভাঙা স্রোতের মতোন ঢুকে যাচ্ছে দুজনের মুখের ভেতর। জায়েদ ছুটছে বাঁচার জন্য … পশ্চিম থেকে আসা বাবাদের নিয়ে প্রতীকধর্মী গল্প “নক্ষত্রখোর”।
পঞ্চম গল্প: রাজনৈতিক নীতিপতনের গ্যারাকলে আটকে আছে আরশাদ। অসংখ্য অমীমাংসিত প্রশ্ন নিয়ে অসুস্থ আরশাদ। তার ভেতরে ভয়, “ইহুদিরা শেষ নবীর অপেক্ষায় থেকেও শেষ পর্যন্ত ঈমান পায়নি। আমরাও কি মাহদীর দলে থাকতে পারবো? “দ্বিতীয় অপেক্ষা এবং প্রতিক্রিয়া হীন আত্মহনন”-এ থাকছে আরশাদের অনুভব।
ষষ্ঠ গল্প: সাদমান বদলে দিয়েছে কিছু মানুষের মনোজগত। কীভাবে? কীসের আলোয়? “উপলব্ধি এবং বেজান দৌড়” গল্পে থাকছে মনবদলের সাতকাহন।
সপ্তম গল্প: তানহার গায়ে প্রজাপতি বসেছিল। স্থানীয় মিথ অনুযায়ী তার দ্রুত বিয়ে হয়ে যাওয়ার কথা। অথচ এই চল্লিশেও তানহা অবিবাহিত। ভেতরে ভেতরে চলছে দ্বৈত সত্তার কথোপকথন। কী সেই আলাপন? “তার গায়েও বসেছিল প্রজাপতি”তে আছে তানহার অটোবায়োগ্রাফি।
অষ্টম গল্প: দখিনের উপরের ঠোঁটে কালো রেখা। স্পর্ধা জেগেছে বোধে ও ভাবনায়। বাবা ও তার স্বপ্ন এবং মায়ের স্বপ্ন মুখোমুখি। “বিবর্তিত পার্সোনালিটি”তে।
নবম গল্প: ট্যাব ছুটছে। আইফোন ছুটছে। বৃদ্ধ প্রবল হচ্ছে ক্ষমতায়। তার মোবাইল প্যান্টে আছ দুই হাজার পনেরটি পকেট! সেই পকেটে কী আছে? দেখুন “ক্রমপতনের গ্রাফিতি”তে।
দশম গল্প: একজন ভালো মানুষ। সমাজ সেবক। পরোপকারীও আরজু সাহেব। কিন্তু প্রতিবার ইউপি নির্বাচনে জামানত হারান। শেষ নির্বাচনে ঘটে গেল আরেক ঘটনা… “জামানত হারানো প্রার্থী”তে থাকছে সেই গল্প।
একাদশ গল্প: ড. আবির একা একা কথা বলেন। মেয়ে তা নিয়ে বিপন্ন। চিকিৎসা করতে গিয়ে ঘটে গেল অভাবনীয় ঘটনা। পুরো দেশের এলিট লোকেরা মজে গেছে মনোলগে। “মনোলগ সভ্যতা” এক জটিল ও কঠিন সময়ের গল্প।