ধর্ম মোটেও ব্যক্তিগত নয়, ধর্ম বিশ্বকল্যাণের জন্য

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ফেব্রুয়ারি ০৪ ২০১৯, ০৭:২৪

য়ালি উল্লাহ আরমান

ধর্ম মোটেও ব্যক্তিগত বিষয় নয়। বিশেষত আল্লাহ মনোনীত ধর্ম ইসলাম মানুষের ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র এবং বিশ্বভূমন্ডলে সর্বাঙ্গীণ কল্যাণের জন্য এসেছে।

যে বা যারা এমনটা বলছেন, যদি সজ্ঞানে বলে থাকেন তাহলে বলব তারা গোমরাহির পথে আছেন।
“ধর্ম ব্যক্তিগত বিষয়” এটা যদি তার অজ্ঞতাপ্রসূত নিজস্ব বক্তব্য হয়, তাহলে তিনি কোন ইসলামী ছাত্র সংগঠনের দায়িত্বশীল থাকতে পারেন কিনা সংগঠনের ভেবে দেখা উচিত।

কিন্তু দলীয়শক্তি বৃদ্ধির সাথে সাথে পরোক্ষভাবে তাদের সংগঠনের নীতিমালায় যদি ধর্ম সম্পর্কে এমন জঘন্য বিশ্বাস থাকে, তাহলে আমরা অনুরোধ করবো তারা যেনো তাদের সংগঠন থেকে ইসলামের নামটি কেটে মডারেট সেক্যুলার নাম যুক্ত করে নিন।
যদিও তাদের দলের নাম, প্রচার-প্রচারণা, বাহ্যিক বেশভূষা এবং ইসলামপ্রেমীজনতার সম্পৃক্ততা দেখে আমরা তাদেরকে হক্কানী ইসলামী সংগঠন হিসেবেই জানি।

এদেশে যারা ইসলামের নামে রাজনৈতিক সংগঠন করেন, তারা ইসলামের সার্বজনীনতার কথা বলেন। তারা ইসলামী সমাজব্যবস্থায় মানুষের উভয়জাহানের কল্যাণ ও সফলতার কথা বলেন।

দুদিন আগে যে অপরিপক্ক ছেলেটি বলেছেন যে, “ধর্ম ব্যক্তিগত বিষয়” তিনি কি প্রকৃতপক্ষেই ইসলামকে এমন চোখে দেখেন, নাকি সত্যিই তার সংগঠন এই নীতিতে বিশ্বাস করে, অথবা তিনি নিজেকে ‘অতি মডারেট’ দেখানোর জন্য এমনটা বলেছেন, কিংবা ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য কোন কূটকৌশলের অংশ হিসেবে তার মুখ ফসকে এমন কথা বের হয়েছে, আমরা জানি না।

তবে কেউ যদি সত্যিকারার্থেই ইসলামে বিশ্বাস করে, যদি কেউ ইসলামী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখে, যদি কেউ নিজেকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুগত এবং অনুসারী দাবি করে, তার মুখ দিয়ে কস্মিনকালেও এমন কথা আসতে পারে না।

‘ইসলামী শাসনতন্ত্র’ যে সংগঠনের নাম, জাতীয় গণমাধ্যমে সেই সংগঠনের দায়িত্বশীল পরিচয়ে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন, অপরিণামদর্শী এবং ইসলামের সার্বজনীনতা ও মৌলিকত্ব অস্বীকার, অপব্যাখ্যা এবং আপত্তিকর বক্তব্য দেয়ার পর কেবলমাত্র হতাশা ব্যক্ত করলেই চলে না।

তাছাড়া ইসলামের সার্বজনীনতাকে যিনি এভাবে সঙ্কুচিত করেন, তিনি কীভাবে একটি ইসলামী সংগঠন ঢাবি ক্যাম্পাসের দায়িত্বশীল হিসেবে মুখপাত্রের ভূমিকায় মিডিয়ায় কথা বলেন আমরা জানি না।

আমরা জানি না, কিছু ভোট, ঢাবিতে সংগঠনের নাম প্রচার অথবা সাংগঠনিক তৎপরতার অনুমোদনের জন্য ইসলামের মৌলিকত্বের উপরে এত জঘন্য কথা বলার পরেও সেই অপরিপক্ক বালক এখনো কীভাবে দায়িত্বে থাকেন?
ধর্ম সম্পর্কে এমন বিকৃত বক্তব্য দেওয়ার পরেও সেই সংগঠন আলোচ্য ইস্যু কিংবা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সম্পর্কে দলীয় অবস্থান প্রকাশ কিংবা কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি এটা সত্যিই বিস্ময়কর।

কদিন পূর্বে ঢাবি ক্যাম্পাসে তাদের মিছিল দেখে আমরা উচ্ছ্বসিত হয়ে সাধুবাদ জানিয়েছিলাম। প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছিলাম ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হোক তাদের কর্মকাণ্ড।

কিন্তু সপ্তাহ না ঘুরতেই তাদের বিশ্ববিদ্যালয় দায়িত্বশীলের বিকৃত বক্তব্য দেখে আমাদের সাধুবাদ, অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা প্রত্যাহার করে নিলাম।