দৃষ্টিনন্দন আধুনিক বাস টার্মিনাল হচ্ছে সিলেটে

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

মে ১৮ ২০২২, ২০:২৫

পুরো টার্মিনালের নির্মাণকাজ তিনটি অংশে ভাগ করা হয়েছে। যার মধ্যে পার্ট-১ বহির্গমন ভবনের দৈর্ঘ্য ৩৫০ ফুট। রয়েছে ৯৭০ শিটের যাত্রী বসার সুবিধাসম্পন্ন বিশাল হল। রয়েছে ৩০ শিটের ভিআইপি কক্ষ, ৩০টি টিকিট কাউন্টার ও ৫০ জন মুসল্লির ধারণ ক্ষমতার নামাজ কক্ষ। নারী-পুরুষ ও প্রতিবন্ধীদের ব্যবহার উপযোগী পৃথক ছয়টি টয়লেট জোন। সেখানে হুইল চেয়ার নিয়েও একজন টয়লেট ব্যবহার করতে পারবেন। ওপরে ওঠার জন্য থাকবে লিফট, রেস্টুরেন্ট ও ফুড কোর্ট। থাকবে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাওয়া যাত্রীর জন্য সিক বেড, শিশুদের জন্য ব্রেস্ট ফিডিং জোন।

পার্ট-২ অংশ অ্যারাইভাল বিল্ডিং প্রায় ৩০০ ফুট দৈর্ঘ্যের। ডিপারচার বিল্ডিংয়ের মতো এখানে আছে বাস বে, যাত্রীর বসার জন্য ৫১০ শিটের ওয়েটিং স্পেস ও ৩০ শিটের ভিআইপি কক্ষ, আধুনিক টয়লেট সুবিধা, সিক বেড, ব্রেস্ট ফিডিং জোন, লিফট, রেস্টরেন্টসহ যাত্রীদের সব সুযোগ-সুবিধা। পার্ট-১ ও পার্ট-২-এর মাধ্যমে ডিপারচার ও এ্যারাইভাল আলাদা করা হলেও করিডরের মাধ্যমে পুরো স্ট্রাকচার একটি চক্রাকার ভবনে পরিণত হয়েছে। এ ভবনের দক্ষিণ-পশ্চিম কর্নারে সড়কের সঙ্গে সঙ্গে গোলাকার পাঁচতলা টাওয়ার ভবনে রয়েছে টার্মিনাল পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা অফিস। যেখানে থাকবে পুরো টার্মিনালের সিকিউরিটি কন্ট্রোল ও সিসিটিভি মনিটরিং কক্ষ, পুলিশ কক্ষ এবং পর্যটন অফিস।

টার্মিনালের পেছনের দিকে পার্ট-৩ অংশে নির্মিত হয়েছে একটি মাল্টিপারপাস ওয়েলফেয়ার সেন্টার। যেখানে মালিক ও চালক সমিতির জন্য থাকবে ২৪ বেডের বিশ্রাম কক্ষ, গোসলের ব্যবস্থা, অফিস, লকার ব্যবস্থা, ক্যান্টিন এবং মিটিং ও অনুষ্ঠানের জন্য বিশাল মাল্টিপারপাস মিলনায়তন।

নতুন এ টার্মিনালের নকশা করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার বিভাগের তিন সহকারী অধ্যাপক সুব্রত দাশ, রবিন দে এবং মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। তাদের একজন সুব্রত দাশ বলেন, সিলেটের ঐতিহ্য আসাম টাইপ বাড়ি, চাঁদনীঘাটের ঘড়ি বিবেচনা করে আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর সমন্বয় ঘটানো হয়েছে নকশায়।