দিল্লী সফর শেষে দেশে ফিরলেন এরশাদ

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জুলাই ২৫ ২০১৮, ২৩:২৭

একুশে জার্নাল ডেস্কঃ লালনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচ দিনের ভারত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। বৃহস্পতিবার দুপুরে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে তিনি বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।

দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, পুত্র এরিখ এরশাদ, ব্যক্তিগত সহকারী এমএ ওহাব এবং জাপা মহাসচিবের ব্যক্তিগত সচিব মো. জসিম উদ্দিন এরশাদের সফরসঙ্গী ছিলেন।

আগামীকাল বেলা ১১টায় চেয়ারম্যানের বানানীস্থ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ভারত সফরের বিস্তারিত তুলে ধরবেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
২৩ জুলাই রাতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

এ বৈঠকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি, সুনীল শুভ রায় এবং মেজর (অব.) খালেদ আখতার উপস্থিত ছিলেন। এর আগে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গেও পৃথক বৈঠক করেছেন।

ভারত সরকারের আমন্ত্রণে সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২২ জুলাই দিল্লি যান।

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ ভারত সরকারের আমন্ত্রণে দিল্লি সফরে এসে গুরুত্বপূর্ণ নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করেছেন।

দিল্লি সফররত জাতীয় পার্টির নেতারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ও গণতন্ত্র বজায় রাখার ক্ষেত্রে তাদের দলের যে ভূমিকা এই সফরে ভারত কার্যত তারই স্বীকৃতি দিচ্ছে।

দিল্লিতে পর্যবেক্ষকরাও মনে করছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা তৃতীয় শক্তি হিসেবে জাতীয় পার্টির যে জায়গাটা আছে সেটাকে আরও ভালভাবে বুঝতেই জেনারেল এরশাদকে ভারত আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

কিন্তু বাংলাদেশে নির্বাচনের এই সময়ে মি.এরশাদের এই দিল্লি সফরের তাৎপর্য কী?
আসলে গত দু-তিনমাসে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি- বাংলাদেশের এই প্রধান দুই দলের নেতারাই ভারতের রাজধানীতে সফর করে গেছেন।

এখন মি.এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির যে দলটি দিল্লিতে রয়েছে, ভারত সরকারের হয়ে নিজে গিয়ে তাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন ঢাকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু জানাচ্ছেন, “অন্য দলের কথা বলতে পারব না, তবে আমরা এসেছি খোদ ভারত সরকারের আমন্ত্রণে আর দিল্লিতেও এখন অবস্থান করছি তাদের আতিথ্যেই।”

“আসার পর প্রথম দিনেই আমাদের বৈঠক হয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপির সাবেক সভাপতি রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে। পরদিন আমরা বৈঠকে বসি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে।”

তিনি আরও বলেছেন, দিল্লিতে তাদের বৈঠক হয়েছে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গেও।
কিন্তু ভারতের এই নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে মি. এরশাদ ও তার সঙ্গীরা ঠিক কী নিয়ে কথাবার্তা বললেন?

“দেখুন ভারত হল বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র। আর ওদিকে বাংলাদেশেও সংবিধানকে সমুন্নত রাখতে ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখতে জাতীয় পার্টি লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত নির্বাচনে আমরা শুধু এই কারণে অংশ নিয়েছিলাম যাতে বাংলাদেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন থাকে।”

“বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনও বিকাশশীল – আমাদের হয়তো অনেক সীমাবদ্ধতাও আছে। কিন্তু যে কোনও অবস্থাতেই আমরা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও শক্তিশালী করতে চাই, আর এ ব্যাপারে ভারতও আমাদের সাথে পুরোপুরি একমত। মূলত এই বিষয়েই দু’পক্ষের মধ্যে কথাবার্তা হয়েছে”, বলছিলেন জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।