দাদির পেটে নাতির জন্ম

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

এপ্রিল ০১ ২০১৯, ১৮:৫৮

 

ম্যাথিউ এলেজ এবং এলিয়ট ডোয়ার্টি। যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাসকার ওমাহা এলাকার এক দম্পতি। দীর্ঘদিন ধরে সন্তান নেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তারা। পরে সারোগেট পদ্ধতিতে সন্তান নেয়ার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু সন্তান নেয়ার আকাঙ্ক্ষা পূরণে যে এলিয়টের মা সিসিলি এগিয়ে আসবেন; তারা কখনই তা কল্পনা করেননি।

ম্যাথিউ এলেজ এবং স্বামী এলিয়ট তার মাকে বলেন যে, তারা নিজেদের পরিবার তৈরির পরিকল্পনা করছেন। এ সময় তাদের সেই পরিকল্পনার খবরে ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন সিসিলি। তখন থেকেই আবারো নিজের গর্ভে সন্তান ধারণের স্বপ্ন দেখা শুরু করেন তিনি।

সিসিলির তিন সন্তান রয়েছে; যারা পূর্ণ বয়স্ক। নিজের ছেলের সন্তানকে গর্ভে ধারণে এগিয়ে আসেন তিনি। বাজফিড নিউজ বলছে, সিসিলি অকপটে জানিয়ে দেন, তিনি গর্ভধারণ করতে রাজি আছেন। গর্ভধারণের অনুভূতি তিনি আবারো পেতে চান।

 

নিজের পেটে নাতিকে বহন করার এই গল্প বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির মতো মনে হতে পারে। কিন্তু সত্যিই গর্ভধারণ করেন সিসিলি। তবে তিনিই যে বিশ্বে প্রথম কোনো নারী হিসেবে নাতিকে গর্ভে ধারণ করেছেন; বিষয়টি তেমন নয়। তার আগেও অনেক পূর্ণ বয়স্ক নারী সারোগেট পদ্ধতিতে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।

তবে চিকিৎসকরা বলেছেন, এটা মানুষের বোঝা দরকার যে, ৬০ বছর বয়সে সারোগেট পদ্ধতিতে পিতা-মাতা হওয়াটা সহজ এবং নিরাপদ কাজ নয়। সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রে অল্প কয়েকজন নারী আছেন যাদের এই সক্ষমতা আছে।

গত ২৫ মার্চ নিজের নাতির জন্ম দিয়েছেন এই নারী। তার নাম রেখেছেন উমা লুইস দোয়ার্টি এলেজ। বর্তমানে এই শিশুকন্যা সুস্থ আছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিসিলির এই সাহসী কাজের প্রশংসা করেছেন অনেকে। তবে অনেকেই তার এই কাজে খুশি নন।

সূত্র : আরটি